শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ পূর্বাহ্ন

ইনফিনিক্স মোবাইলের ওপর ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপ

আইটি প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ২ মার্চ, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

স্মার্টফোন আর এখন শুধু গেমিং বা সেলফি তোলার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে না, বরং উন্নতমানের ক্যামেরা ও প্রসেসরযুক্ত স্মার্টফোন এখন কর্মসংস্থান তৈরি করতে সক্ষম। ঢাকায় সম্প্রতি ইনফিনিক্স আয়োজিত মোবাইল ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপে এমনটাই বলেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ফটো সাংবাদিক কে এম আসাদ।

ওয়ার্কশপে কে এম আসাদ তাঁর আন্তর্জাতিক পুরষ্কারপ্রাপ্ত বেশ কিছু ছবিসহ ইনফিনিক্স নোট ১২ প্রো দিয়ে তার তোলা কিছু ছবি অংশগ্রহণকারীদের কাছে তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সংকট এবং বাংলাদেশের নানা মানবিক ও প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বাংলাদেশি এই ফটোগ্রাফারের অসংখ্য কাজ রয়েছে। বিবিসি, সিএনএন, দ্য গার্ডিয়ান, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস, দ্য টেলিগ্রাফসহ বিভিন্ন বিখ্যাত মিডিয়ায় তাঁর এই কাজগুলো প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৯ সালে, ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ম্যাগাজিনের কভার পেজে আসাদের তোলা ছবি প্রকাশিত হয়। ২০২১ সালে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো কর্তৃক কে এম আসাদকে পরিবেশ ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত করা হয়।

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে যুবসমাজকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্য নিয়ে সম্প্রতি স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স এই ওয়ার্কশপের আয়োজন করে। ১২১৪ জন নিবন্ধনকারীর মধ্য থেকে ২৫ জনকে বাছাই করে সেখানে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বাজারে নতুন আসা ইনফিনিক্স নোট ১২ প্রো ফোন ব্যবহার করে বাংলাদেশি তথ্যচিত্র ফটোগ্রাফার কে এম আসাদ ওয়ার্কশপটি পরিচালনা করেন।

ফটোগ্রাফি সম্পর্কে জানার পাশাপাশি মোবাইলের ক্যামেরা, ইমেজ সেন্সর ও প্রসেসরের গুণমানের ওপরও জোর দেন আসাদ। ভালো ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি এবং এডিটিংয়ের জন্য এই বিষয়গুলোর সমন্বয় খুবই প্রয়োজনীয় বলে উল্লেখ করেন তিনি। আসাদ আরও বলেন, “আজকের এই দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বে মোবাইল জার্নালিস্ট, রিপোর্টার, ফটোগ্রাফার এবং ইউটিউবাররা তাদের বেশিরভাগ কাজ মোবাইল ফোনেই করে থাকেন। তারা যদি কাজ করার সময় তাদের ফোনে ঝামেলা অনুভব করেন অথবা তাদের ডিভাইস স্লো হয়ে যায়, তাহলে  অবশ্যই এটি তাদের কাজে প্রভাব ফেলে।” ভালো পারফরম্যান্সের জন্য নোট ১২ প্রো এ থাকা কম্বিনেশনের প্রশংসা করেন তিনি।

ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণকারীরা এই আয়োজন নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। উপস্থিতদের মধ্য থেকে একজন বলেন, “ফ্রেমিং ও লাইটিং সম্পর্কে আমার কিছু ধারণা ছিল, কিন্তু এই ওয়ার্কশপের মাধ্যমে আমি এ বিষয়গুলোর সঠিক ব্যবহার শিখেছি।” এই ওয়ার্কশপে তারা ডেপথ অফ ফিল্ড, অ্যাপারচার, আইএসও, এক্সপোজার, শাটার স্পিড ইত্যাদি ছাড়াও ফটোগ্রাফির বেশ কিছু টেকনিক্যাল বিষয়াদি একজন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে জানার সুযোগ পান।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x