শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৭:০৬ পূর্বাহ্ন

তীব্র দাবদাহের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও বায়ুদূষণ দায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২২ মে, ২০২৩
  • ১৬

নিউজটি শেয়ার করুন

সারাদেশে প্রবাহমান তীব্র দাবদাহের পেছনে জলবায়ু পরিবর্তন ছাড়াও বায়ুদূষণ দায়ী বলে মনে করেন পরিবেশ ও নাগরিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, ধুলিকণা ও দূষিত গ্যাসের তাপ শোষণ করার ক্ষমতা থাকার কারণে বর্তমানে অত্যধিক দূষিত বায়ুতে অবস্থিত ধুলিকণা ও গ্যাসীয় পদার্থগুলো সূর্যের তাপমাত্রাকে শোষণ করে তাপ প্রবাহ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখছে। পাশাপাশি সালাফার ডাই অক্সাইড, নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন মনো অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখে। তাই তাপমাত্রার বৃদ্ধি কমাতে বায়ু দূষণ কমানো জরুরি।

আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ সব কথা বলেন তারা। এই কর্মসূচির আয়োজন করে বায়ুমন্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্র (ক্যাপস), বাংলাদেশ প্রকৃতি সংরক্ষণ জোট (বিএনসিএ), বারসিক, সেভ ফিউচার বাংলাদেশ, জিএলটিএস, গ্রীন ভয়েজ, পরিবেশ উদ্যোগ, সিপিআরডি, সিজিইডি ও ইয়ুথনেট ফর ক্লাইমেট জাস্টিস।

সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে বিদ্যমান আইন, নীতিমালা ও বিধি-বিধানকে যুগোপযোগী করাসহ ৪ দফা দাবি ও ১৫ দফা সুপারিশ তুলে ধরে তা দ্রুত বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়।
সমাবেশে ক্যাপস-এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আহমদ কামরুজ্জমান মজুমদার বলেন, বাংলাদেশের পরিবেশ দূষণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বিভিন্ন শহর ধীরে ধীরে বসবাসের যোগ্যতা হারাচ্ছে। অথচ দেশে বায়ুদূষণ কমানোর ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সমন্বিত কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং প্রতিনিয়ত বায়ুদূষণের নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে। অতি দ্রুত বায়ুদূষণ কমাতে পদক্ষেপ না নিলে জনজীবন আরো দুর্বিষহ হয়ে উঠবে। বায়ু দূষণ ও তাপমাত্রা কমানোর জন্য বনায়ন ও জলাভূমি সংরক্ষণের উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)’র যুগ্ম সম্পাদক স্থপতি ইকবাল হাবিব বলেন, বায়ু দূষণের জন্য আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়ে বেড়ে উঠবে। এই জায়গা থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে আমরা দায়বদ্ধ। নিশ্চয়ই আমরা ঘুরে দাঁড়াবো। আমরা এমন এক দেশে বাস করি, যেখানে বীজ বপন করলেই গাছ হয়। আর শুধু লালন-পালন করলেই আমরা এই ক্ষতিকর বায়ুদূষণ থেকে মুক্তিলাভ করতে পারি। দুষণ মোকাবেলায় সকলকে একসাথে হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মোহাম্মদ খান বলেন, বায়ুদূষণ উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌছালেও রাষ্ট্র নির্বিকার। এই বায়ুদূষণ নিয়ে যে গবেষণা হচ্ছে, তা বেশির ভাগই বেসরকারি উদ্যোগে হচ্ছে। অথচ রাষ্ট্রর উচিত ছিল সরকারি ভাবে সকলকে নিয়ে আলোচনা করা, গবেষণা করা ও করণীয়গুলি ঠিক করা।
গ্রীণ ভয়েসের উপদেষ্ঠা ও বাপা’র যুগ্ম সম্পাদক আলমগীর কবির বলেন, বায়ুদূষণের ফলে ধীরে ধীরে আমরা অসুস্থ জাতিতে পরিণত হচ্ছি। তাই বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে একত্রিত হয়ে কাজ করতে হবে। সরকারকে বিভিন্ন পর্যায়ে দূষণের উৎসগুলো কমিয়ে আনতে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x