শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

সংকটে দেশের নারী ফুটবল, সম্মানী ও কর্তৃত্বে বৈষম্য

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

নারী ফুটবলাররা আগে বেশ চনমনে অনুশীলন করতেন। বাফুফে ভবনে থাকত হাসির রোল। এখন সেখানে ভর করেছে নিস্তব্ধতা। ইচ্ছার বিরুদ্ধে অনেকে অনুশীলনে যাচ্ছেন। কেউ জানেন না কবে, কখন আবার ম্যাচ খেলতে পারবেন। দক্ষিণ এশিয়ার চ্যাম্পিয়ন হয়েও আট মাস খেলার বাইরে তারা। হঠাৎ করে সব ওলট-পালট। সাজানো-গোছানো নারী ফুটবলে চরম অস্থিরতা। প্রধান কোচ ছোটনের পদত্যাগ ও দলের অন্যতম স্ট্রাইকার সিরাত জাহান স্বপ্নার আকস্মিক অবসর নাড়িয়ে দিয়েছে পুরো ক্রীড়াঙ্গনকে। পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল শনিবার বিকেলে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন খেলোয়াড় ও কোচিং স্টাফদের নিয়ে বসেছিলেন।

সালাউদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে নানা সমস্যার কথা জানিয়েছেন ফুটবলাররা। সবকিছু শুনে সালাউদ্দিন আরও কিছুদিন ধৈর্য্য ধরতে বলেছেন। আগের সেই কথারই নাকি পুনরাবৃত্তি করেছেন বাফুফে সভাপতি, ‘একটি ফান্ডের জন্য চেষ্টা করছি, ফান্ড পেলে সব চাহিদা পূরণ করা হবে।’ সালাউদ্দিনের এমন আশ্বাস সাবিনারা গত আট মাসে কয়েকবারই শুনেছেন। এখন আর তারা সেই আশ্বাসে খুব বেশি ভরসা করতে পারছেন না।

মে মাস শেষ হতে চললেও এপ্রিলের বেতন এখনো পাননি ফুটবলাররা। চলতি সপ্তাহের বৃহস্পতিবার এপ্রিলের বেতন পাওয়ার কথা রয়েছে। নারী ফুটবলারদের বেতনও খুব অল্প অঙ্কের। অধিনায়ক সাবিনা সর্বোচ্চ ২০ হাজার টাকা পান। বাকিদের অধিকাংশ ১০ হাজার করেই পাচ্ছেন আগের মতো। সাফ জয়ের পর এই সম্মানী বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি দিলেও বাস্তবায়ন হয়নি এখনো।

নারী ফুটবলে বদলে ফুটবল ফেডারেশনের যেমন অবদান রয়েছে তেমনি ফুটবল ফেডারেশনকে সাফল্য দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছেন এই সানজিদারাই। সময়ের সঙ্গে তাদের চাহিদারও পরিবর্তন হয়েছে। এত সাফল্যের পর মাত্র ১০-১৫ হাজার টাকার সম্মানীতে তাদের কীভাবে চলে?

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x