শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

নগর দরিদ্রদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২৮ মে, ২০২৩
  • ১৬

নিউজটি শেয়ার করুন

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি যথাযথ বাস্তবায়নে নগর দরিদ্রদের সঠিক তালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, বর্তমানে ওয়ার্ড ও গ্রাম মহল্লার দরিদ্র, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের তালিকা নেই। প্রকৃত তালিকা না থাকায় অনেকেই রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এই তালিকা করার ত্রে সরকারি কর্মকর্তাদের পাশাপাশি জনপ্রতিনিধি, সিভিল সোসাইটি, স্থানীয় বস্তিবাসী ও শ্রমিকদের প্রতিনিধি রাখতে হবে। জাতীয় বাজেট দরিদ্রের মানুষের উন্নয়নে জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখার আ্হ্বান জানিয়েছেন তারা।

আজ ররিবার জাতীয় প্রেস কাবে ‘নগর দরিদ্র বিমোচন : সামাজিক সুরা খাতে বাজেট বরাদ্দ ও বৃদ্ধি’ শীর্ষক জাতীয় সংলাপে এসব কথা বলেন তারা। কোয়ালিশন ফর দ্যা আরবান পুওর (কাপ) ও কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড আয়োজিত সংলাপ সঞ্চালনা করেন কাপের নির্বাহী পরিচালক খোন্দকার রেবেকা সান ইয়াত। আলোচনায় অংশ নেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক অধ্যাপক এম এম আকাশ, সিপিআরডি প্রধান নির্বাহী মো. শামসুদ্দোহা, কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড কান্ট্রি ডিরেক্টর মানিশ কুমার আগরওয়াল, শ্রমিক নেতা আবুল হোসেন, গণতান্ত্রিক বাজেট আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার মুস্তফা, এসএ টিভির বিজনেস এডিটর সালাউদ্দিন বাবলু, সমাজসেবা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক শামসুন নাহার, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ফাতেমা জোহুরা, বস্তিবাসী অধিকার সুরা কমিটির সভাপতি হোসনে আরা বেগম রাফেজা, বস্তিবাসী ময়না আক্তার প্রমুখ। সংলাপে ধারণাপত্র উত্থাপন করেন উন্নয়নধারা ট্রাস্টের সদস্য সচিব আমিনুর রসুল বাবুল।

সংলাপে অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, আমাদের প্রথম দাবি হওয়া উচিত- নাগরিক স্বাীকৃতি। এরপর দরিদ্রের তালিকা করা। সরকার জাতীয় বাজেটে বৈষম্যহীন ভাবে বাস্তববায়ন করা দরকার। দেশের ১০ শতাংশ ধনীর কাছে ৪০শতাংশ দরিদ্র মানুষের ভাগ্য বন্দ্বি। কারণ এই ৪০ শতাংশ মানুষের বাজেটের বরাদ্দ অর্ধেক নিয়ে যায় ধনীক শ্রেণী। বাকি অর্ধেক দিয়ে দরিদ্রের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব হয় না। তাই লুটপাট বন্ধে রাজনৈতিক সদিচ্ছা সবার আগে দরকার। বাজেট প্রণয়নে দারিদ্র মানুষের স্বার্থ বিবেচনায় নেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

গবেষক মো. শামসুদ্দোহা বলেন, শহর ও গ্রামে দরিদ্র মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। রাষ্ট্র্রের সেবাখাতসহ অনন্য খাতে চাকরির জন্য মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। গ্রামের মানুষ শহরের এসে সর্বপ্রথম আয় বৈষম্য স্বীকার হচ্ছে। অথচ এই দরিদ্র মানুষগুলো কাজ করে ঢাকা সিটির অর্থনীতি চালু রেখেছে। কিন্তু সরকার তাদের মুল্যালয় করছে না। তাদের মূল্যায়নের রাষ্ট্রের সুযোগ সুবিধা যারা বেশি ভোগ করছে, তাদের ওপর ট্যাক্স আরোপ করতে হবে। আদায়কৃত অর্থ অর্থনীতি চালু রাখার কারিগর দরিদ্রদের মাঝে বন্টন করতে হবে।

কনসার্ন ওয়াল্ডওয়াইড কর্মকর্তা মানিশ কুমার আগওয়াল বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে আছি। যারা যত বেশি দরিদ্র তারা ততো বেশি ঝুঁকিতে আছে। তাই সকলে মিলে দারিদ্র্য বিমোচনে কাজ করতে হবে। সরকার এ বিষয়ে কাজ করছে। আগামী জাতীয় বাজেটেও তার প্রতিফলন থাকবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংলাপে বক্তারা বলেন, বাজেট বড় হলে দরিদ্র লোক বাড়বে। তাই বড় বাজেট থামাতে হবে। কারণ বাজেটে টাকা ধনীর শ্রেণীর মানুষের পকেট চলে যায়। লুটপাট ও দুর্নীতি না কমালে মুল্যস্ফীতি আরে বাড়বে। দুনীতি-লুটপাট বন্ধে আরো বেশি কঠোর পদপে নিতে হবে। টিসিবি পণ্য বন্টনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি ব্যবহার বাড়ানোর দাবি জানান তারা।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x