শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

শ্রমবাজার গতিশীল করতে ছাড় দেয়া হচ্ছে সত্যায়নে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২ জুন, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

মালয়েশিয়া এবং সৌদি যেখানেই কর্মীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেখানেই আমরা কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছি। পাশাপাশি যে রিক্রটিং এজেন্সিগুলো এ ধরনের কাজের সঙ্গে যুক্ত তাদের কার্যক্রমও আমরা ঝুলিয়ে দিচ্ছি। তবে শ্রমবাজার গতিশীল রাখার জন্য আমরা সত্যায়ন পক্রিয়ায় কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। যাতে রিক্রটিং এজেন্সিগুলো দ্রুত কর্মী পাঠাতে পারে। গতকাল শুক্রবার মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।

এ সময় তিনি বলেন, ‘মালয়েশিয়ার কর্মী চাহিদার একটি পরিসীমা রয়েছে। এখন আমরা যদি কর্মী পাঠাতে দেরি করি তাহলে তারা অন্যদেশের কর্মী নেয়া শুরু করতে পারে। তখন আমরা দেরিতে আটকিয়ে গেলাম আর অন্য দেশগুলো লোক পাঠিয়ে দিলো। তাই আমরা সত্যায়নের ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় দিচ্ছি। আর অনুমোদন দিচ্ছে মালয়েশিয়া সরকার। তারা একটা দায়িত্ব নিয়ে দিচ্ছে। তাই কোন রিক্রটিং এজেন্সি যদি অনিয়ম করে সেটা ধরা দায়িত্ব মালয়েশিয়া সরকারের।’

এর আগে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজারের উন্নয়ন এবং সম্প্রসারণ বিষয়ে মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুতিন বিন ইসমাইলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ। এ সময় তারা মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার উন্নয়ন, কর্মীদের সামগ্রিক সুরক্ষা, রিক্যালিব্রেশন ও শ্রমবাজার সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার মধ্যে অত্যন্ত সৌহার্দ্য ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের কর্মীরা মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে দক্ষতা ও সফলতার সাথে অবদান রাখছে। কর্মীদের দক্ষতার মানোন্নয়নে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি শিবকুমারের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী। বৈঠকে বাংলাদেশী কর্মীদের জন্য মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আরো সুষ্ঠু ও নিরাপদ করা, অতিদ্রুত গৃহকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীসহ অধিক সংখ্যক কর্মী পাঠানোর বিষয় আলোচনা হয়।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x