বর্তমান সরকার প্রস্তাবিত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে গণবিরোধী আখ্যায়িত করে তা প্রত্যাখ্যান করেছেন বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ। তারা বলেছেন, এই বাজেটের মাধ্যমে জনগণের উপর বড় করের বোঝা চাপানো হয়েছে। আইএমএফ’র শর্তে দেশ ধবংসের এই বাজেট ব্যবসা বান্ধব। যা জনগণের কল্যাণে প্রণীত হয়নি।
আজ শুক্রবার গণমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদ সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, সিপিবি সভাপতি শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির সাধারণ সম্পাদক মোশরেফা মিশু এবং বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি হামিদুল হক।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকার ঘাটতি নিয়ে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ হাজার কোটি টাকার বড় বাজেট দেওয়া হয়েছে। এটি একটি গতানুগতিক বাজেট। এতে গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলো যেমন স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি, কর্মসংস্থান ক্ষেত্রে বরাদ্দ তেমন বাড়ানো হয়নি। আইএমএফ’র শর্ত পূরণ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী ভ্যাট ও করের জাল বিস্তৃত করেছে। ফলে বাজারের নিত্যপণ্যের দাম আরো বাড়বে এবং জনগণের দুর্দশা ও দুর্ভোগ বাড়বে। করযোগ্য আয় না থাকলেও ২ হাজার টাকা কর দিতে হবে। এটি মরার উপর খাড়ার ঘায়ের সামিল।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এবার বাজেটে ঘাটতি মেটাতে ব্যক্তি নির্ভরতা বেড়েছে। প্রযুক্তিকে যুক্ত করে শিক্ষাখাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মাত্র ১৩.৭ শতাংশ। অথচ ছাত্র সমাজের দাবি ছিল ২৫ শতাংশ। স্বাস্থ্যখাত ৫ শতাংশের ঘর অতিক্রম করছে না। কৃষি খাতও বাজেটে অবহেলিত। সারের দাম ২ দফা বেড়েছে জ্বালানি তেল, বীজসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়েছে। অথচ বাম্পার ফলনেও কৃষক বোরো ধানের দাম পাচ্ছে না। প্রতি বছর শ্রমবাজারে আগ ২০ লাখ কর্মসংস্থানের বিষয়ে বাজেটে কোন বক্তব্য নেই, বরাদ্দ নেই। জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় বাংলাদেশ থাকলেও বাজেটে পরিবেশকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এই বাজেট প্রত্যাখানের জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।