শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৪৫ পূর্বাহ্ন

চৌদ্দগ্রামে জামায়াতের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সেলিমের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
  • ২৭

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে এবং জামায়াত-শিবিরের নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে আজ মঙ্গলবার সকালে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেয় আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম। এতে স্থানীয় নেতা কর্মীদের উপস্থিতিতে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে বাধা দিয়েছে আওয়ামী লীগের অন্য একটি পক্ষ। এক সপ্তাহ আগে ঘোষিত এ কর্মসূচিতে এমন ভাবে বাধা দেয়াকে নিজেকে হত্যা এবং জামায়াত-শিবিরের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম।
জানা যায়. এক সপ্তাহ আগে সেলিম বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি দিলেও একপর্যায়ে পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেন মুজিবুল হকের অনুসারীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ মাঠে নেমে পড়ে সাবেক রেলমন্ত্রী ও স্থানীয় সংসদ সদস্য মুজিবুল হকের অনুসারীরা। এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিমের সঙ্গে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহজালাল মজুমদারসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী মাঠে ছিলেন।

আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি বিষয়ক উপকমিটির সদস্য এম তমিজ উদ্দিন ভূঁইয়া সেলিম বলেন, অনুষ্ঠানস্থলে যাওয়ার সময় আমার ওপর হামলা চালিয়েছে তারা। আমরা এক সপ্তাহ আগে কর্মসূচি ঘোষণা করেছি, আমাদের প্রতিহত করতে তারা এই পাল্টা কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। আমি মনে করি, তারা জামায়াতের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এটা করেছে। এটার কোন মানে হয় না। প্রধানমন্ত্রী নিজেদের মধ্যে মনমালিন্য চায় না। আমিও একই মতের। এখন স্থানীয় ভোটাররা আমাদের নেতা-কর্মীরা যদি তাদের পাশে রেখে সামনের পথ চলতে চায় আমি কি করে সরে আসি। চৌদ্দগ্রামের জন্য এখানকার মানুষের জন্য দুর্বৃত্তায়ন রুখে দিব ইনশায়াল্লাহ।’

আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা অংশে প্রায় ৪ ঘন্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার পরিস্থিতির তথ্য জানিয়ে হাইওয়ে পুলিশের কুমিল্লা অঞ্চলের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ বলেন, কয়েক ঘন্টা চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকায় উভয়মুখী লেনে যান চলাচল বন্ধ ছিল। পরে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়ে যায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে চৌদ্দগ্রাম বাজার এলাকাসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মুখোমুখি অবস্থান নেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
এ সময় নেতাকর্মীদের হাতে লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চৌদ্দগ্রাম বাজারের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেটে মহাসড়কের ওপর নেতাকর্মীরা অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় সেখানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যদের মাঠে দেখা যায়। এ ছাড়া চৌদ্দগ্রাম বিসিক গেট এলাকায় একটি মোটরসাইকেলসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেয়া হয়। এতেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের নেতাকর্মীদের ধাওয়ায় তারা (মুজিবুল হকের অনুসারীরা) পালিয়ে যায় চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে। তারাই পথে পথে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে আমাদের কর্মসূচি বানচালের চক্রান্ত করেছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে মুজিবুল হকের অনুসারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্লা বাবুলকে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x