শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:০০ অপরাহ্ন

লোডশেডিং নিয়ে সুখবর নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৭ জুন, ২০২৩
  • ১৫

নিউজটি শেয়ার করুন

তীব্র গরমের পাশাপাশি ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে সারা দেশের জনজীবন। রাজধানী ঢাকাতেই দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলের অবস্থা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গরমে মানুষের কষ্টের পাশাপাশি শিশু ও বয়স্করা ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে কবে উত্তরণ ঘটবে তার সুনির্দিষ্ট আভাস নেই। তবে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যে পরিষ্কার, এই জুন মাসে কষ্ট থেকে মুক্তি মিলছে না।

রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) তথ্য মতে, ৬ জুন দুপুর ১২টায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। বিপরীতে উৎপাদন করা হয়েছে ১২ হাজার ১৬৬ মেগাওয়াট। লোডশেড করা হয়েছে মোট ২৬১০ মেগাওয়াট।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) বলছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট। পিজিসিবি ও পিডিবি দুই সংস্থার তথ্য মিলিয়ে সর্বোচ্চ ১৫ হাজার ৮০০ মেগাওয়াট চাহিদার তথ্য পাওয়া গেলেও বাস্তবে চাহিদা ১৭ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছেছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট বেশ কয়েকটি সূত্র। অর্থাৎ বাস্তবে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ আরও বেশি।

চলমান লোডশেডিং পরিস্থিতি সামলাতে সম্প্রতি বৈঠক করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সংকট মেটাতে দেশি-বিদেশি কয়েকটি বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে বেশি বিদ্যুৎ কেনা হবে। বর্তমানে ভারতের আদানি গ্রুপ ৭৫০ থেকে ৯৫০ মেগাওয়াট করে বিদ্যুৎ দিচ্ছে। এখন সরকার আদানির কাছ থেকে ১০৫০ মেগাওয়াট নিতে চাইছে। রামপাল কেন্দ্র এখন ৩২০ থেকে ৩৭০ মেগাওয়াট দিচ্ছে। তা বাড়িয়ে ৬১২ মেগাওয়াট করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ঘোড়াশাল, আশুগঞ্জ, টঙ্গী, ভেড়ামারা, সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন প্লান্টে ৫ কোটি ঘনফুট গ্যাসের সরবরাহ বাড়িয়ে ৫০০ মেগাওয়াট উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। বিদ্যুৎ খাতের জন্য বর্তমানে দৈনিক ১২০ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ করছে পেট্রোবাংলা। এর পরিমাণ বাড়াতে গেলে শিল্পে সরবরাহ কমে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে দেশজুড়ে লাগামছাড়া লোডশেডিং চললেও দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ৪৫ শতাংশ এখনও অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে। বর্তমানে আমদানিসহ চালু থাকা ১৪৯টি কেন্দ্রের দৈনিক বিদ্যুত উৎপাদনের সক্ষমতা ২৩ হাজার ৩৭০ মেগাওয়াট। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বন্ধ রয়েছে চারটি কেন্দ্র, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা আরও ৩০৯ মেগাওয়াট।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x