ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় ইভ্যালির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেলের জামিন বহাল রাখা হয়েছে। হাইকোর্টের জামিন আদেশ স্থগিত চাওয়া রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে রবিবার কোনো আদেশ দেননি (নো অর্ডার) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার আদালত।
গত ৬ জুন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ রাসেলকে জামিন দেন। তার জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে শর্তসাপেক্ষে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সে জামিন স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ, যাতে কোনো আদেশ দেননি আদালত।
আদালতে জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আহসানুল করিম। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
আইনজীবী আহসানুল করিম কালের কণ্ঠকে বলেন, “বেশ কয়েকটি শর্তে মামলা নিষ্পত্তি পর্যন্ত রাসেলকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। শর্তের মধ্যে আছেন, মামলার বিচারকাজকে কোনোভাবেই প্রভাবিত করবেন না, প্রতিমাসে সংশ্লিষ্ট থানায় হাজিরা দেবেন, কোনো ফৌজদারী কর্মকাণ্ড করবেন না ইত্যাদি।”
তবে আন্য মমালায় জামিন না পাওয়ায় মোহাম্মদ রাসেলের শিগগিরই কারা মুক্তি মিলছে না বলেও জানিয়েছিলেন এই আইনজীবী।
ডিজিটাল মাধ্যমে প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল দম্পতিসহ ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর বাড্ডা থানায় এ মামলা করেন ইভ্যালির গ্রাহক মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বাদী ইভ্যালি অ্যাপের মাধ্যমে দুটি অ্যাকাউন্ট খুলে দুই আইডি থেকে ২৮ লাখের বেশি টাকার পণ্য অর্ডার করেন। বিকাশ, নগদ এবং বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে টাকা পরিশোধও করেন। অর্ডার করা পণ্য ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা সাত মাসে দেওয়া হয়নি। এ বিষয়ে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা পণ্য ডেলিভারি দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সময় ক্ষেপণ করেন।
আসামিরা কম দামে পণ্য দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ডিজিটাল মাধ্যমে ‘প্রতারণা করে’ এভাবে দেশের অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
তদন্ত শেষে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন সিআইডি পুলিশের উপ-পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাস। গত ২ মার্চ ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এ মামলার অভিযোগ গঠন করেন।