হিন্ডেনবার্গ রিপোর্টের কঠোর সমালোচনা করেছেন আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। মঙ্গলবার আদানি গ্রুপের বার্ষিক সাধারণ সভায় চেয়ারম্যান বলেন, রিপোর্ট ভুল তথ্যে ভরা নথি আর অহেতুক কতগুলো অভিযোগ ছাড়া কিছুই নয়।
ভারতের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ এফপিও লঞ্চ করার প্রাক্কালে এমন পরিস্থিতি আদানির বিরুদ্ধে চক্রান্ত বলেই মনে করেন তিনি। তার মতে, আদানির বিরুদ্ধে যেসব বিষয়ে এই রিপোর্টে অভিযোগ উঠে এসেছে, তার অধিকাংশই ২০০৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ঘটেছে। এসব ইস্যুই সেসময় সমাধান করা হয়েছে বলে জানান গ্রুপটির চেয়ারম্যান। এমনকি সম্পূর্ণভাবে সাবস্ক্রাইব করা এফপিও থাকা সত্ত্বেও আদানি গ্রুপ সকল বিনিয়োগকারীকে সুদসহ টাকা ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মূলত আদানি গ্রুপের সম্মানহানি করার জন্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রিপোর্টটি তৈরি করা হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। এছাড়া এ কাজের পেছনে আদানি গ্রুপের স্টক-শেয়ার থেকে স্বল্পমেয়াদী আর্থিক লাভের আশাও রাখা হচ্ছে বলেও তার ধারণা।
এ বিষয়ে তদন্তের জন্য ভারতের সুপ্রিম কোর্ট থেকে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির কার্যক্রম অনুযায়ী, আদানির বিরুদ্ধে কোনোরূপ তথ্য-প্রমাণ পাওয়া যায়নি। এছাড়া দেশ-বিদেশে কোনো ক্রেডিট এজেন্সিই আদানি গ্রুপের রেটিং কমিয়ে দেবার পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে এই বিরূপ পরিস্থিতি আদানি অনেকটাই সামাল দিয়ে উঠেছে। বরং এ ধরনের বাধা-বিপত্তি আসায় আদানি গ্রুপ আগের চেয়েও বেশি সক্রিয় হতে পারছে, “আমাদের ব্যালেন্স শিট, আমাদের সম্পদ এবং আমাদের ‘অপারেটিং ক্যাশফ্লো’ আগের চাইতে এখন আরো বেশি শক্তিশালী।”
সকলের কাছে তিনি ও তার প্রতিষ্ঠানের প্রতি সকলের বিশ্বাস ধরে রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার কথা দেন। এছাড়াও দীর্ঘ ৩০ বছরের পথচলাকে স্মরণ করে তিনি সংশ্লিষ্ট সবাইকে তাদের নিজ নিজ ভূমিকার ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। আগামী দিনের প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করে গৌতম আদানি তার বক্তব্য শেষ করেন।