শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৫:২০ পূর্বাহ্ন

সিংড়ায় ১৮ দিনে পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু!

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

সিংড়া প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ায় গত ১৮ দিনের ব্যবধানে পানিতে ডুবে ৭ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এদের সকলের বয়স তিন থেকে ১৪ বছরের মধ্যে। এতে করে উদ্বিগ্ন অভিভাবক মহল। গত সেপ্টেম্বর মাসের ১৬ তারিখ থেকে শুরু করে চলতি মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত ১৮ দিনের ব্যবধানে এতোগুলো প্রাণহানি হয়েছে।

জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার শাঐল বুদারবাজার গ্রামে খেলতে গিয়ে বাড়ির পাশের পুকুরে পড়ে যায় দুই শিশু সাদিয়া (৭) ও খাদিজা (৬)। তারা সম্পর্কে মামাতো-ফুফাতো বোন। সাদিয়া ওই গ্রামের শরিফুল ইসলামের মেয়ে ও খাদিজা ইমরান আলীর মেয়ে। পরিবারের লোকজন অনেক খোঁজাখুঁজি করে বিকেল তিনটার দিকে দুজনের মরদেহ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে।

 

গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদীতে গোসল করতে যায় কাওছার আহমেদ (১৪) নামের এক শিশু। পরে তাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। পরেরদিন বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার শেরকোল ইউনিয়নের রাণীনগর ব্রীজের সুইচগেট এলাকা থেকে জালে জড়ানো তার মরদেহ উদ্ধার করে স্থানীয়রা।

সে রাণীনগর উজানপাড়ার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে ও তেলিগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। 

এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামের বারনই নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু ফাতেমা (৫) ও আব্দুস সবুর (৯) নিখোঁজ হয়। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। সবুর একই গ্রামের সাহাদ ইসলামের ছেলে ও ফাতেমা সাইফুল ইসলামের মেয়ে। নিখোঁজ আব্দুস সবুরের মরদেহ চার ঘণ্টা পর বিকেলে উদ্ধার করে ডুবুরি দল।

পরেরদিন সকাল ৯টায় প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

গত ১লা অক্টোবর রবিবার উপজেলার শালমারা গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে মারা যায় ফাহিম (৩) নামের এক শিশু। সে ঐ গ্রামের রুবেল সরদারের পুত্র।

সর্বশেষ গত ৩রা অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের কুমিড়া গ্রামে তামিম (১৪) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ঐ গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।

১৮ দিনের ব্যবধানে ৭ শিশু মৃত্যুর বিষয়ে নাটোর আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হক বলেন, পারিবারিক সচেতনতার অভাবে মূলত পানিতে ডুবে শিশুদের এমন অকাল মৃত্যু হচ্ছে। এজন্য মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি আলাদা নজর বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের সাঁতার শেখাতে অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে হবে।

পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে বেশি মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। শিশুদের চোখে চোখে রাখতে হবে। পরিশেষে সিংড়ায় শিশুদের সাঁতার শেখানোর জন্য সুইমিংপুল স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x