সে রাণীনগর উজানপাড়ার হাবিবুর রহমান হবির ছেলে ও তেলিগ্রাম দাখিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।
এদিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার হাতিয়ান্দহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামের বারনই নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু ফাতেমা (৫) ও আব্দুস সবুর (৯) নিখোঁজ হয়। তারা সম্পর্কে চাচাতো ভাই-বোন। সবুর একই গ্রামের সাহাদ ইসলামের ছেলে ও ফাতেমা সাইফুল ইসলামের মেয়ে। নিখোঁজ আব্দুস সবুরের মরদেহ চার ঘণ্টা পর বিকেলে উদ্ধার করে ডুবুরি দল।
পরেরদিন সকাল ৯টায় প্রায় দুই কিলোমিটার দূর থেকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত ১লা অক্টোবর রবিবার উপজেলার শালমারা গ্রামে বাড়ির পাশের ডোবায় পড়ে মারা যায় ফাহিম (৩) নামের এক শিশু। সে ঐ গ্রামের রুবেল সরদারের পুত্র।
সর্বশেষ গত ৩রা অক্টোবর মঙ্গলবার সকাল ১০টায় উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের কুমিড়া গ্রামে তামিম (১৪) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়। পরে রাত ৯টার দিকে বাড়ির পাশের পুকুরে ভেসে থাকা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে ঐ গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে।
১৮ দিনের ব্যবধানে ৭ শিশু মৃত্যুর বিষয়ে নাটোর আদালতের আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. নাজমুল হক বলেন, পারিবারিক সচেতনতার অভাবে মূলত পানিতে ডুবে শিশুদের এমন অকাল মৃত্যু হচ্ছে। এজন্য মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যদের সচেতনতার পাশাপাশি শিশুদের প্রতি আলাদা নজর বাড়াতে হবে। পাশাপাশি শিশুদের সাঁতার শেখাতে অভিভাবকদের উদ্যোগী হতে হবে।
পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মো. আবু জাফর সিদ্দিকী উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সবচেয়ে বেশি মা-বাবাকে সচেতন হতে হবে। শিশুদের চোখে চোখে রাখতে হবে। পরিশেষে সিংড়ায় শিশুদের সাঁতার শেখানোর জন্য সুইমিংপুল স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি।