রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০১ পূর্বাহ্ন

দেশে শহরে বসবাস করে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্মসংস্থান ও জলবায়ু পরিবর্তনসহ আর্থ-সামাজিক অনেক কারণে বাংলাদেশে শহরে বসবাস করা মানুষের সংখ্য বাড়ছে। নগরায়ণের সাথে সাথে কাজের সন্ধানে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচূত্যির এ হার বাড়ছে। আবার উন্নত জীবনের আশায় সামর্থবান পরিবারগুলো গ্রাম ছেড়ে শহরে এসে বসবাস করতে শুরু করেছে।এর ফলে শহরে বসবাসকারী মানুষের সংখ্য দিনে দিনে বাড়ছে। সরকারি প্রতিবেদনেও বিষয়টি উঠে এসেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস)সর্বশেষ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে বর্তমানে শহরে বসবসাকারী মানুষের সংখ্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি।সম্প্রতি প্রকাশিত জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর জাতীয় প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

বিবিএসের তথ্যমতে, ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জনসংখ্যার মধ্যে পল্লি অঞ্চলে বসবাস করেন ১১ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০৪ জন এবং শহরে বসবাস ৫ কোটি ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার ১০৭ জনের।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। মোট জনসংখ্যার মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪১ লাখ ৩৪ হাজার ৩ এবং নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭৮৪। শতকরা হিসাবে পুরুষ ৪৯ দশমিক ৫৪ শতাংশ ও নারী ৫০ দশমিক ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা শূন্য দশমিক ৯২ শতাংশ বেশি।

দেশে গত চার দশকে সাধারণ শিক্ষায় পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর হার কমেছে। তবে বেড়েছে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী।

জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দেখা যায়, পাঁচ বছর বা তার চেয়ে বেশি বয়সী মানুষের মধ্যে ১৯৮১ সালের আদমশুমারিতে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী ছিল ৯৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। কিন্তু ২০২২ সালের জনশুমারিতে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ দশমিক ২৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪১ বছরের ব্যবধানে সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠী কমেছে ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ।

অন্যদিকে ১৯৮১ সালে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার ছিল ২ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০২২ সাল শেষে ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ১৯ শতাংশ।

প্রতিবেদন বলছে, মূলধারা বা সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১০ কোটি ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৩৬৫, কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত ৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৬৭ জন, ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত ৮৫ লাখ ২১ হাজার ৬৫৭ জন। এছাড়া অন্যান্য (ইংরেজি মাধ্যম) শিক্ষায় শিক্ষিত ৩২ লাখ ৫২ হাজার ৭১৪ জন।

জনশুমারির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সাল শেষে সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৭৪ দশমিক ৮৪ শতাংশে। ১৯৭৪ সালের শুমারিতে যা ছিল ২৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ১৯৭৪ সালে এমন জনগোষ্ঠী ছিল ৭৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২০২২ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশে।

শুমারির তথ্য অনুযায়ী, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়া নাগরিক রয়েছে ২৫ দশমিক ৯১ শতাংশ, অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ১৬ দশমিক ১৮ শতাংশ, নবম বা দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়েছে ৭ শতাংশ নাগরিক। তা ছাড়া এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় পাস করা নাগরিক রয়েছে ৮ দশমিক ৮২ শতাংশ, এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রয়েছে ৭ দশমিক ৮২ শতাংশ।

দেশে স্নাতক বা সমমান পাস নাগরিক ২০২২ সাল শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৬২ শতাংশ। অথচ আগের শুমারিতে এই হার ছিল মাত্র ১ দশমিক ৯২ শতাংশ। দেশে বর্তমানে স্নাতকোত্তর বা সমমান পাস নাগরিক রয়েছে ১ দশমিক ৭২ শতাংশ। অপ্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত নাগরিক রয়েছে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x