শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৭:২৪ অপরাহ্ন

বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিত ও সহজ করার দাবি ব্যবসায়ীদের

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

কর্মশালায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম ও বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন ছবি: সংগৃহীত

দেশের বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে দীর্ঘমেয়াদি ঋণপ্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সহজিকরণের পাশাপাশি ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে কর কাঠামো পুনর্গঠন ও ব্যবসাবান্ধব করা এবং কর আহরণ প্রক্রিয়া সহজিকরণের দাবি জানিয়েছে শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাণিজ্য খাতকে আরও কার্যকরী করতে ট্যাক্স জিডিপি অনুপাত বাড়ানো, দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ, রপ্তানি বহুমুখীকরণ, বিদেশি বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করে সংগঠনটি। খবর বাসস।

গতকাল মঙ্গলবার ফেডারেশন ভবনে ‘বিল্ডিং এ রেজিলিয়েন্ট ইকোনমি ফর ভিশন ২০৪১: কি চ্যালেঞ্জেস এন্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক কর্মশালায় এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অন্যতম একটি করণীয় ও চ্যালেঞ্জ হচ্ছে বেসরকারি বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করা। আর এ বিনিয়োগের জন্য দীর্ঘমেয়াদি ঋণ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ ও সহজিকরণ অত্যন্ত জরুরি।’

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বেশ কিছু করণীয় ও চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করেন মাহবুবুল আলম। তার মধ্যে রয়েছে ট্যাক্স জিডিপি বাড়াতে কর কাঠামো পুনঃগঠন ও ব্যবসাবান্ধব করা এবং কর আহরণ প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ও সহজিকরণ করা, বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নীতিমালা প্রণয়ন, শ্রমঘন শিল্প, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের প্রসারে আর্থিক ও নীতিগত সুবিধা বৃদ্ধি করা, উন্নয়নের রোডম্যাপ বাস্তবায়নে শক্তিশালী মনিটরিং সেল গঠন করা, লজিস্টিক খাতের নীতিমালা প্রণয়ন, উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা, বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, কারিগরি শিক্ষার সম্প্রসারণ করা ইত্যাদি।

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস। বিগত বছরে বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের বিরাট বাজার আছে, সক্ষমতা আছে, অনেক জটিলতার মধ্য দিয়েও আমার আজকে এতদূর পর্যন্ত এসেছি। তিনি বলেন, সবসময়ই যে বাইরের দেশের ফর্মুলায় চলতে হবে এমন নয়, নিজেদের সক্ষমতা বেড়েছে এখন বাংলাদেশের।’

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে সাত লাখ আইটি এক্সপার্ট দরকার হচ্ছে। কয়েক বছর পর হয়ত দশ লাখ দরকার হবে। কিন্তু দক্ষতার অভাবে আমরা পাঠাতে পারছি না। দক্ষ লোকবল না গড়ে উঠলে ভবিষ্যতে উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবহারে বিদেশ থেকে লোক আনতে হবে বলেও আশঙ্কা করেন বাণিজ্য সচিব।

শিক্ষার মান বাড়ানো জরুরি উল্লেখ করে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার নিয়ে যায় বিদেশিরা, অথচ দেশের ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা শেষ করে চাকরি পাচ্ছে না।
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পলিস এক্সচেঞ্জ অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআইয়ের প্যানেল উপদেষ্টা ড. মাশরুর রিয়াজ।

তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ভিশন ২০৪১ অর্জনে বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) বাড়ানো, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার বাড়ানো, সবুজায়ন বাড়ানো, সর্বোপরি বেসরকারি খাত বান্ধব নীতিমালা প্রণয়ন অপরিহার্য।

এছাড়া কর্মশালায় প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন ফরেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির (ফিকি) সভাপতি জাভেদ আক্তার, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই)’র সভাপতি কামরান টি রহমান রহমান প্রমুখ।

কর্মশালায় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী, সহসভাপতি মো. মুনির হোসেন, পরিচালকবৃন্দ,বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x