বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

তথ্য সুরক্ষা আইনের সঠিক ব্যবহারের দাবি

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বুধবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

সাংবাদিক, নারী ও মানবাধিকার কর্মীদের অনলাইন ও ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষার লক্ষ্যে তথ্য সুরক্ষা আইনের যথাযথ ব্যবহারের দাবি জানিয়েছে অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ভয়েস। একইসঙ্গে তথ্য সুরক্ষা লঙ্ঘনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানিয়েছে এনজিওটি।

সম্প্রতি পালিত হওয়া তথ্য সুরক্ষা দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভয়েসের পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, বাংলাদেশে সাধারণ ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে অনলাইনে কী ধরনের তথ্য আদান প্রদান করা উচিত তার সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা নেই। ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে ব্যবহৃত এপ্লিকেশনে তথ্য সুরক্ষা এবং অন্যান্য নিরাপত্তামূলক বিষয়াদি সম্পর্কেও ব্যবহারকারীরা সম্যক অবগত নন। যার ফলে তারা হ্যাকার কর্তৃক বিভিন্ন স্প্যাম ও ম্যালোয়্যারের আক্রমণের শিকার হয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও গোপন তথ্য হারিয়ে ফেলেন এবং এ থেকে উত্তরণের পথ খুঁজে পান না। ব্যবসায়িক বা চিকিৎসাক্ষেত্রে সেবা নিতে গেলে প্রতিনিয়তই নিজস্ব বা পারিবারিক তথ্য প্রদান করতে হয়। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো প্রায়ই আর্থিক লাভের উদ্দেশ্যে ভোক্তাদের তথ্যগুলো তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রয় করে দিচ্ছে। তথ্য প্রদানকারীর অনুমতি ছাড়াই তার তথ্য বিভিন্ন ব্যবসায়িক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা এক ধরনের চিন্তার বিষয় হয়ে উঠছে।

সেবাখাতগুলোর তথ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের দাবি জানিয়ে বলা হয়, সরকারি পোর্টালগুলো সর্বতভাবে সুরক্ষিত নয়। সাম্প্রতিককালে, জাতীয় পরিচয়পত্র পোর্টাল থেকে প্রায় পাঁচ কোটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত তথ্য টেলিগ্রাম নামক একটি মেসেজ এপ্লিকেশনে ছড়িয়ে পড়তে দেখা যায়। ইদানীংকালে সরকারি আমলা, তারকা, খেলোয়াড়, সংবাদকর্মী, মানবাধিকারকর্মী কিংবা সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের বিভিন্ন ফোনালাপ, অন্তরঙ্গ ছবি, ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হতে দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, নির্বাচন প্রাক্কালে রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন বিব্রতকর অডিও বা ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে নীতিগতভাবে অনুমোদনপ্রাপ্ত উপাত্ত সুরক্ষা আইন ২০২৩ সম্পর্কে ভয়েস একাধিক পর্যবেক্ষণ ব্যক্ত করেছে। ভয়েসের মতে, উপাত্ত সুরক্ষা আইনের আওতায় ব্যক্তিগত তথ্য কীভাবে সুরক্ষিত হবে, সেটি পরিষ্কারভাবে তুলে ধরতে হবে। পাশাপাশি আইন প্রয়োগে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তথ্য সুরক্ষায় আইন আছে, কিন্তু তার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এছাড়াও ভয়েসের পক্ষ থেকে সবধরনের তথ্য সুরক্ষা লঙ্ঘনের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানানো হয়। ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা সম্পর্কে গণসচতনতা বাড়াতে জনমত নির্বিশেষে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মীদের সম্মিলিত প্রয়াসের কোনো বিকল্প নেই বলেও বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x