রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১১:১৭ অপরাহ্ন

টুইন পিকে টাওয়ার বন্ধ, ভবন ঠিক না করলে নিয়মিত মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) অভিযানে রাজধানীর ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডের গাউসিয়া টুইন পিক টাওয়ারে অনুমোদনহীন ও নকশা বহির্ভূতভাবে নির্মাণ করা ১৫টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করা হয়েছে। একইসঙ্গে ১টি রেস্তোরাঁর মালিককে জরিমানা করা হয়েছে । আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে অভিযান শুরু করে রাজউক। এসময় নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের দায়ে টুইন পিক ভবনের একটি রুফটপ রেস্তোরাঁ ভেঙে দিয়েছে সংস্থাটি। সোমবার দুপুর থেকে রেস্তোরাঁটি ভাঙার কাজ শুরু হয়।

রাজউক জানিয়েছে, রাজউকের নিয়ম অনুযায়ী ভবনটির ছাদ ফাঁকা থাকার কথা ছিল। কিন্তু কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়া সেখানে রেস্তোরাঁটি গড়ে উঠেছে। তাই এটি ভেঙে ফেলেছে রাজউক।

অভিযানে (রাজউক) জোন-৩ এর পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, ‌’অফিসের জন্য অনুমোদিত এই ভবনে অবৈধভাবে চালানো হচ্ছে রেস্তোরাঁ ও ফুডকোর্ট। এছাড়া কাভান সিগনেচার, চাপ ঘর , স্পাইস অ্যান্ড হার্বস ও কালচার অ্যান্ড কুইজিন, দ্য প্যান প্যাসিফিক লাউঞ্জ,  ম্যারিটেজ ঢাকা, হোয়াইট হল, অ্যারিস্টোক্র‍্যাট লাউঞ্জ, ইয়াম চা ডিস্ট্রিক্ট, দ্য লবি লাউঞ্জ বুফে, ক্যাফে সাও পাওলো লিমিটেড, আদি কড়াই গোস্ত লিমিটেড, ক্যাফে ডেলোসি এবং গ্যালিতোস নামে রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।’

তাজিন সারওয়ার আরো বলেন, ভবনটি ব্যবহারে ব্যাতয় ঘটিয়েছে। এই ভবন এফ-১ ক্যাটাগরিতে অনুমোদন করা ছিল। কিন্তু ওনারা সেটা অনুসরণ করছিলেন না। এফ-১ হচ্ছে অফিস ভবন হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। এই ভবনে আমরা ১৫টা রেস্তোঁরা পেয়েছি। রেস্তোঁরা পাওয়ার পর আমরা এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু রেস্তোঁরা সিলগালা করেছি, কিছু কিছু রেস্তোঁরার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছি। মোট কথা সবগুলো রেস্তোরা কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন বন্ধ করে দেওয়া হলো। ভবন মালিক ঠিক না করলে খুলতে দেরিতো হবেই নিয়মিত মামলাও করা হবে।

এরপর রোববার ভবনটি পরিদর্শন করে রাজউকের অঞ্চল-৫ এর পরিচালক মো. হামিদুল ইসলাম বলেন, এক তলা বেইজমেন্টসহ ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনটির অকুপেন্সি টাইপ এফ-১। অর্থাৎ ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহার করা যাবে, রেস্তোরাঁ নয়।

বেইলি রোডে আগুনে পুড়ে যাওয়া গ্রিন কোজি কটেজ ভবনটিও রেস্তোরাঁ হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ ছিল না রাজউক আইন অনুযায়ী। কিন্তু আট তলা ভবনে ১৪টি খাবারের দোকান ও রেস্তোরাঁ ছিল।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x