শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫৬ অপরাহ্ন

বিশ্ববাসীকে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান নুরের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ মার্চ, ২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আগামী ৮ মার্চ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধসহ ৫ দফা দাবিতে সমাবেশ করবে গণঅধিকার পরিষদ। সমাবেশকে কেন্দ্র করে দ্বিতীয় দিনের মত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ করেছে গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দরা। লিফলেট বিতরণের আগে পুরাতন পল্টনের মোড়ে পথসভা করা হয়। পথসভা শেষে পুরাতন পল্টন মোড়, ফকিরাপুল, বায়তুল মোকাররম মসজিদ এলাকা ও গুলিস্তানে লিফলেট বিতরণ করা হয়।

এসময় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধিতে মানুষের কষ্ট হচ্ছে। জিনিসপত্রের দাম হুড়হুড় করে বাড়ছে। জনবিচ্ছিন্ন সরকার মানুষের কষ্ট দেখতে পারছেনা। কারণ তাদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই,জনগণ তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে নাই। তারা গায়ের জোরে একতরফা নির্বাচন করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় আছে। ৭ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন করে দেশকে আরও ঝুঁকিতে ফেলেছে,সংকট ঘনীভূত করেছে। জিনিসপত্রের বাজারে আগুন আর ডামি সংসদে ফাগুন। সরকার জিনিসপত্রের দাম কমাতে পারবে না। সরকার সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি। তাই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে জনগণকে প্রতিবাদ করতে হবে , রাস্তায় নেমে দাম কমাতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সরকার দুর্নীতিবাজ ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে ড. ইউনূসকে আদালতের বারান্দায় ঘুরাচ্ছে, হয়রানি করছে। ড.ইউনুস ,বেগম খালেদা জিয়ার মতো দেশের সম্মানিত নাগরিকদের সরকার অসম্মানিত করছে। বিচারিক হয়রানির মাধ্যমে বিরোধী দল ও ভিন্নমতের মানুষের উপর নির্যাতন চালানো হচ্ছে,যা সারা বিশ্ব দেখছে। দেশের মানুষ ও বিশ্ববাসীকে ড.ইউনুসের পক্ষে থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।

গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খাঁন বলেন, সরকারের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেছে জনগণের পকেটে টাকার অভাব নেই। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হলে তিনি এমন কথা বলতে পারতেন না। আমাদের কারও পকেটে টাকা নেই। সাংবাদিক থেকে শুরু করে সরকারি- বেসরকারি সকল পেশার মানুষ কষ্টে রয়েছে। মানুষ সঞ্চয় ভেঙে খেয়ে এখন ঋণের জালে আবদ্ধ হতে শুরু করেছে। যে টাকা আয় করে, তা দিয়ে কারও সংসার চলেনা। সরকার ২০০৮ সালের নির্বাচনে বলেছিলো ১০ টাকা কেজি চাল খাওয়াবে আর ঘরে ঘরে চাকরি দিবে। কিন্তু চালের দাম এখন ৫০-৭০ টাকা। বেকারত্বের কারখানা এই দেশ। অর্থাৎ এই সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। ১৪ সালে বলেছিলো নিয়ম রক্ষার নির্বাচন, ১৮ সালে বললো নির্বাচন সুষ্ঠু হবে, কিন্তু সবাইকে নির্বাচনে নিয়ে ধোঁকাবাজি করলো৷ আর ২৪ সালে ডামি নির্বাচন করে পুরো জাতির সাথে প্রহসন করেছে। এই ডামি সরকারের পক্ষে নিত্যপণ্যের দাম কমানো সম্ভবপর নয়। সুতরাং এই অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

গণসংযোগ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন দলের উচ্চতর পরিষদের সদস্য ফাতেমা তাসনীম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসালম, ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, সাইফুল ইসলাম এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের সহ-সভাপতি সাব্বির হোসাইন, নাহিদ উদ্দিন তারেক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, যুব অধিকার পরিষদের দপ্তর সম্পাদক সবুজ সেরনিয়াবাতসহ নেতৃবৃন্দ।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x