বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৮:২৮ অপরাহ্ন

এবার হিজাব ইস্যুতে অন্য কিছু ঘটতে পারে ভারতে

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হিজাব নিয়ে সৃষ্ট বিতর্ক উচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। হিজাবের পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ-পাল্টা বিক্ষোভের কারণে এই বিতর্কের ঢেউ ছাড়িয়েছে ভারতের সীমানা। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে হিজাব ইস্যুতে রাজ্যজুড়ে প্রবল বিক্ষোভের জেরে শেষপর্যন্ত নির্দেশনা সংশোধনের পথে হাঁটতে পারে কর্ণাটক সরকার।

বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। এ বিষয়ে শুক্রবার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসতে যাচ্ছে রাজ্যটির মন্ত্রিসভা।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি কর্ণাটকের কলেজগুলোতে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব পরে ঢোকার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল রাজ্যটির ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার। তবে সেই নির্দেশ নিয়ে ভারত ও ভারতের বাইরে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে রাজ্যজুড়ে চূড়ান্ত অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়। বিতর্কিত ওই বিষয়টি এখনও কর্ণাটক হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।

শুক্রবারের প্রতিবেদনে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, হিজাবে নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল কর্ণাটক সরকার তাতে কিছু পরিবর্তন আনতে পারে বলে তারা জানতে পেরেছে। বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি বলছে, ইতোমধ্যেই কর্ণাটকের শিক্ষা দফতর তাদের হিজাব সংক্রান্ত এই নির্দেশনা সংশোধন নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে। তবে বিষয়টি এখন আদালতে বিচারাধীন হওয়ায় তড়িঘড়ি করে এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারবে না রাজ্য সরকার।

এদিকে বৃহস্পতিবার হিজাবে নিষেধাজ্ঞা এবং সরকারি নির্দেশনা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা পিটিশনগুলো হাইকোর্টের ফুল বেঞ্চে শুনানির জন্য তোলা হয়। হিজাবে নিষেধাজ্ঞা সাম্য, ধর্ম, মত প্রকাশ, ব্যক্তিগত স্বাধীনতা এবং অধিকারের বিরুদ্ধে বলে আদালতে যুক্তি দেখানো হয়। অন্যদিকে এ ব্যাপারে পাল্টা যুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা সময় চান রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রভুলিং নাভাদগি।

পরে অ্যাডভোকেট জেনারেল আদালতে জানান, তিনি রাজ্য সরকারের কাছ থেকে এ ব্যাপারে নতুন নির্দেশনা চাইবেন। শুক্রবার বিকেলে আদালতে এ ব্যাপারে তিনি যুক্তি ও ব্যাখ্যা দেবেন বলেও জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x