ফেনীতে কিশোরকে দেহ তল্লাশীর ফাঁদে ফেলে বলাৎকার করে ভিডিও চিত্র ধারণ করে ইউনুস আলী নামে এক পুলিশ সদস্য। এরপর টানা তিন মাস ধরে বলাৎকার করা হয় আবির হোসেন আকাশ নামে ওই কিশোরকে। বলাৎকারের অভিযোগে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে ইউনুস আলীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার ওই কিশোরের মা বাদী হয়ে ইউনুসকে আসামি করে ফেনী মডেল থানায় মামলা করেন। পরে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর ফেনীর শহরের মহিপালে দেহ তল্লাশীর নামে ওই কিশোরকে আটক করে ইউনুস আলী। একপর্যায়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি হোটেলে। সেখানে মামলার ভয় দেখিয়ে প্রথম দফায় শারীরিক সম্পর্ক করে ইউনুস এবং সেই ঘটনা মোবাইল ফোনে ধারণ করে। পরে সেই ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই বলাৎকার করা হতো তাকে। এছাড়া ওই কিশোরের কাছ থেকে নগদ টাকাও হাতিয়ে নেয় ইউনুস আলী। একপর্যায় বিকৃত রুচির ইউনুস তার কিছু সহযোগীদেরও এই কিশোরের পেছনে লেলিয়ে দেয়। তারাও তাকে অনৈতিক কাজে বাধ্য করতে চাপ দেয়। এতে বেঁকে বসে তরুণ।
জানা গেছে, ফেনী মডেল থানার সামনের একটি নির্জন স্থানকে নিজের বিকৃত যৌনাচারের নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নেয় খোদ ওই থানার পুলিশ সদস্য ইউনুস। ধারণকৃত বলাৎকারের ভিডিও ভাইরালের ভয় দেখিয়ে ওই কিশোরকে রাতে যখন-তখন ওই স্থানে আসতে বাধ্য করা হতো। প্রায় রাতেই চালানো হতো নির্যাতন।
নির্যাতিত আকাশ জানান, প্রথমে মামলার ভয় দেখিয়ে তাকে বলাৎকার করা হয়। এরপর সেই বলাৎকারের ভিডিও ইমোতে পাঠায় এবং ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে তাকে গত কয়েকমাস ক্রমাগত বলাৎকার করে আসছে ওই পুলিশ কর্মকর্তা। উপায় না দেখে শেষ পর্যন্ত মামলা করতে হলো।
এদিকে পুলিশ সদস্য ইউনুস আলী গ্রেফতারের পরপরই ফেনীর পুলিশ সুপার আবদুল্লাহ আল মামুন এক আদেশে তাকে চাকুরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করেন।