করোনা মহামারির আগে পরে বিভিন্ন দেশ থেকে দেশে ফেরত এসেছে লাখ লাখ কর্মী। যাদের অনেকেই বেকার। এদের মধ্যে যারা নারী কর্মী তাদের অবস্থা আরো খারাপ। তাই এবার তাদের কথা চিন্তা করে বিদেশ ফেরত নারীদের ঋণের চিন্তা করছে সরকার। তাদের জন্য ‘আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ’ নামের একটি বিশেষ প্রকল্প হাতে নিয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান ব্যাংক। একই সঙ্গে নারীকর্মীদের জন্য নেওয়া হয়েছে ‘নারী উদ্যোক্তা কর্মসংস্থান ঋণ’। আগামী মাসের শুরুতে অর্থাৎ ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে প্রকল্প ও ঋণ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হচ্ছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ক্ষতিগ্রস্ত প্রবাসীদের জন্য ৫০০ কোটি টাকার ঋণ সহায়তা প্রকল্পের ঘোষণা দেওয়া হয়। সেখান থেকে ২৫০ কোটি টাকা বিদেশফেরত কর্মীদের সহায়তার জন্য ‘আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ’নামক নতুন প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।এ প্রকল্প থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মীরা সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে সুদের হার হবে ৪ শতাংশ। মেয়াদ হবে দুই বছর। তবে, ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়েছে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেন, ‘করোনায় বিদেশফেরত কর্মীদের জন্য ২৫০ কোটি টাকার ঋণ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে ইতোমধ্যে এ অর্থ আমাদের হাতে এসেছে। চার শতাংশ সুদে এ অর্থ আমরা করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত বিদেশফেরত কর্মীদের মধ্যে বিতরণ করব। ঋণটা হবে দুই বছর মেয়াদি। প্রকল্পটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘আত্মকর্মসংস্থানমূলক ঋণ’।
প্রসঙ্গত, করোনার কারণে বিদেশফেরত ও দেশে আটকাপড়া প্রবাসীকর্মীদের পুনর্বাসনে গত বছর ৭০০ কোটি টাকার তহবিল গঠন করে সরকার। ঋণসহায়তা দিতে জুলাইয়ে ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ তহবিলে আরও ৫০০ কোটি টাকা যুক্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্ত হয় ২৫০ কোটি টাকা। বাকি ২৫০ কোটি টাকা করোনার কারণে বিদেশফেরত কর্মীদের আত্মকর্মসংস্থানে ব্যয় করার জন্য ছাড় দেওয়া হয়েছে।