শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন

বশেমুরবিপ্রবিতে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও মিলছে না পরিচয় পত্র

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে অস্তিত্ব সংকটে ভুগছে হাজার হাজার শিক্ষার্থী। বেশ কিছু বিভাগের শিক্ষার্থীরা প্রায় দুই বছর শেষ হতেও পায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পত্র।

পরিবেশ বিজ্ঞান ও দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, ইতিহাস, আর্কিটেকচার, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, ফার্মাসি, ছাড়াও বেশ কিছু বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীদেরই পরিচয় পত্র প্রদান করা হয়নি। এবং বাংলা, মার্কেটিং, আর্কিটেকচার, ইতিহাস, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞানসহ আরো অনেক বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র দেয়া হয়নি বিভাগ থেকে।

এ বিষয়ে জানা গেছে, ১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে অধ্যয়নরত অনেকে বিভাগের শিক্ষার্থীদের এখন পর্যন্ত স্টুডেন্ট আইডি নাম্বারই প্রদান করা হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী জানান, “আমি ১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী। করোনা মহামারী পূর্ববর্তী সময়ে আইডি কার্ড সংক্রান্ত বিষয়ে অধ্যায়নরত নিজস্ব বিভাগের অফিস সহকারীর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের চেয়ারম্যান মহাদয় সরাসরি এ বিষয়ে আমাকে বলে, এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় না যে সবকিছু অতি দ্রুতই পেয়ে যাবে। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ সংকট আছে আস্তে আস্তে সব কিছু সমাধান করা হবে। আইডি কার্ড পাবার অধিকার একজন শিক্ষার্থীর মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। অতি দ্রুতই এই সমস্যা সমাধান করা হবে। এ বিষয়ে বার বার বিভাগে আশার প্রয়োজন নেই।”

পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম শাওন বলেন, “আমরা একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখা করি কিন্তু আমাদের পরিচয় দেয়ার কোনো মাধ্যম নেই। কোথাও ঘুরতে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন কর্তৃক পরিচয় পত্র চাওয়া হয় আমাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে, কিন্তু আমরা পরিচয় পত্র দেখাতে না পেরে অপমানের শিকার হই। এটা আমাদের বশেমুরবিপ্রবিয়ানদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক এবং রীতিমত মানহানিকর। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই, যতদ্রুত সম্ভব পরিচয় পত্র প্রদান করে আমাদের অস্তিত্ব সংকট থেকে পরিত্রাণ দিন।”

শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ড. মোঃ শারাফাত আলী বলেন, “আমি এই বিষয়ে পুরোপুরি অবগত নয়। তবে এর আগে অফিস সহকারীদের মাধ্যমে আমি আমার বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের পরিচয় পত্র দেবার চেষ্টা করেছি। আইডি কার্ড হল একজন শিক্ষার্থীর আইডেন্টিটি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে সব সময় আমার আইডি কার্ড বহন করি। সেক্ষেত্রে একজন ছাত্রের আইডি কার্ড ক্যাম্পাস জীবন শুরুর প্রথম তিন মাসের মধ্যেই দিয়ে দেয়া উচিত বলে মনে করি।”

তিনি আরও বলেন, “আইডি কার্ড প্রতিটি বিভাগ থেকে প্রদান করা হবে শিক্ষার্থীদেরকে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাজ না। এক্ষেত্রে যেসব বিভাগে এখন পর্যন্ত আইডি কার্ড প্রদান করা হয়নি, সে সকল ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান মহাদয় এবং অফিস সহকারীর দূর্বলতা এই অসঙ্গতির কারণ।”

কবে নাগাদ শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড পেতে পারে জানতে চাইলে ছাত্র উপদেষ্টা আমাদের জানান, “কেউই আইডি কার্ড পাওয়া থেকে বাদ থাকবে না এবং দ্রুততার সাথেই এ বিষয়ে সমাধানের চেষ্টা করা হবে। এ বিষয়ে আমি প্রক্টর স্যারের সাথে কথা বলে ভিসি মহাদয়কে অবগত করবো যেনো তাড়াতাড়ি শিক্ষার্থীরা আইডি কার্ড হাতে পেতে পারে। একইসাথে যে সকল বিভাগে আইডি কার্ড প্রদান করা হয়নি, সে সকল বিভাগকে এ বিষয়ে অবগত করবার জন্য রেজিস্ট্রার দপ্তরের মাধ্যমে অতি দ্রুত অফিসিয়াল চিঠি দেবার ব্যবস্থা করব।”

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x