কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার জমি দখলের ঘটনায় তোলপাড় এখন সারাদেশ। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি চক্রটি ব্যবহার করেছে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনের স্বাক্ষরিত নাগরিক সনদ ব্যবহার করে নির্বাচন অফিসের মাধ্যমে এনআইডি কার্ড তৈরি করে জমি জালিয়াতি করেছে মাকসুদা, সেলিনা ও শামীমা।
এ বিষয়ে সরেজমিনে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আগামীতে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন, উক্ত নির্বাচনকে ঘিরে একটি কুচক্রী মহল আমাকে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারে নেমেছে এবং সমাজের বুকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য ওই কুচক্রী মহল ভূমিদস্যুদের সাথে হাত মিলিয়ে আমাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মুখোরোচক গল্প তৈরি করে নাটক সাজিয়েছেন।
তিনি প্রতিবেদককে আরো বলেন, সম্প্রতি জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতি করে জমি রেজিস্ট্রি করানো হয়। পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের ভুয়া নাগরিক সনদ ও জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে মৃত খলিল উদ্দিন হায়দারের মেয়ে মাকসুদা, আব্দুল হাকিমের দুই মেয়ে শামীমা খাতুন ও সেলিনা খাতুনকে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বাসিন্দা দেখানো হয়েছে তা সঠিক নয়। বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, কোনদিন তাদেরকে চেনা তো দূরের কথা আমি কখনো দেখিও নাই। অন্যদিকে তাদের জন্ম নিবন্ধন কার্ড এর কোন মিল নেই এবং আমার ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের কোন গ্রামের বাসিন্দাও তারা নয় এবং আটককৃত মহিবুল পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের সদস্য, পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের নয়।
তিনি দাবি করে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন যে, স্বাক্ষর জাল করে ওই ভূমিদস্যু চক্রটি এটি করেছে। এক্ষেত্রে বিধান হচ্ছে একটি ইউনিয়নে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে। এত মানুষের চেহারা ঠিকানা মনে রাখা সম্ভব নয়। এ ক্ষেত্রে ৯ জন ওয়ার্ড সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ড সদস্যরা সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বাসিন্দাকে শনাক্ত এবং যাচাই বাছাই করেন।
ভোটার আবেদন ফরমের স্বাক্ষর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এখানে স্বাক্ষর জাল এবং আমার ব্যবহৃত সীলটিও জাল বলে উল্লেখ করেন। তবে তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলে জানান প্রতিবেদককে জানান।