শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৮ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতি ও জমি দখলের জড়িত চক্রের হোতারা এখনো ধরা-ছোঁয়ার বাইরে

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৮৩

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় এনআইডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার জমি দখলের ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। ইতিমধ্যে এনআইডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে জমি দখল চক্রের অনেকেই আটক হয়েছে পুলিশের হাতে। দিনের পর দিন জমি দখলের চাঞ্চল্যকর তথ্য বের হচ্ছে পুলিশের তদন্তে। ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সহ অনেকেরই নাম এসেছে এ তালিকায়। কুষ্টিয়ায় জালিয়াতি চক্রটি জমি দখলের মূলমন্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে এনআইডি কার্ড। এনআইডি কার্ড জালিয়াতি থেকে জমি রেজিষ্ট্রি পর্যন্ত জালিয়াতি চক্রটি ব্যবহার করেছে নির্বাচন অফিস ও কুষ্টিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসকে।

সংশ্লিষ্ট অনেকেই বলছে, কুষ্টিয়ার নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা ও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের সহযোগিতা ছাড়া এনআইডি কার্ড জালিয়াতি ও ভূমি দখল কখনোই সম্ভব নয়। কিন্তু, নির্বাচন অফিস ও সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তারা এনআইডি জালিয়াতি ও জমি দখলের ঘটনার দায় নিতে নারাজ। যদিও তৎকালীন কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম বিশেষ ক্ষমতাবলে গ্রহন করেন জালিয়াতি চক্রের ভোটার আবেদন ফরম। আর সেই ভোটার আবেদন ফরমের তথ্য যাচাই করেন উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা ছামিউল আলম।

প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য মতে, তৎকালীন সময়ে জালিয়াতি চক্রের সাথে কয়েক দফা গোপন বৈঠকও করেন সাবেক নির্বাচনী কর্মকর্তা নওয়াবুল ইসলাম। অপরদিকে এনআইডি কার্ড জালিয়াতির মাধ্যমে বিক্রিত জমি রেজিষ্ট্রি হয়েছিলো কুষ্টিয়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে। কিন্তু এই দুই অফিসের কেউই আসেনি আইনের আওতায়। যদিও জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি ও জমি দখলের ঘটনার তদন্ত এখনো চলমান।

এদিকে, কুষ্টিয়ায় এনআইডি জালিয়াতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার জমি দখলের ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও এখনো অনেক ভূমি খেঁকোই রয়েছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। কুষ্টিয়া জেলায় দীর্ঘদিন যাবত হর-হামেশা ঘটে চলছে জমি দখলের ঘটনা। এ তালিকায় ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ সহ বড় বড় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভীর আরাফাত (পিপিএম)বার, বারবারই বলেছেন এনআইডি কার্ড জালিয়াতি ও জমি দখলের ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আজগর আলী বলেন, এনআইডি কার্ড জালিয়াতি ও জমি দখলের ঘটনাকে কোনভাবেই সমর্থন যোগ্য নয়। জননেত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা মাহাবুব উল আলম হানিফ মহাদয়ের কথার সাথে একমত হয়ে বলতে চাই অনিয়ম ও দূর্ণীতিবাজদের কোনো ছাড় নেই। অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আসতে হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x