শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:১৮ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়া গজনবীপুরে চলছে গরু চুরির হিড়িক, অসহায় কৃষক

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ১৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া ইবি থানার উজান গ্রাম ইউনিয়নে একের পর এক কৃষকের গোয়াল ঘর থেকে চুরির অভিযোগ উঠছে। গত শনিবার গভীর রাতে একই থানার গজনবীপুর গ্রামে গোয়াল ঘর থেকে ৫ টি গরু চুরি হয়েছে বলে জানা গেছে। গ্রামের পূর্বপাড়ার মহির মন্ডলে ছেলে আঃ রাজ্জাক ১টি গাভী ও একটি ষাঁড় সহ ৪ টি গরু চুরি হয়েছে। গরু চারটির আনুমানিক বাজার মূল্য ১,৬০,০০০ লক্ষ টাকা।

একই রাতে গজনবীপুর মজিবার মন্ডের বড় ছেলে তাইজদ্দিন ইসলামের ১টি ষাঁড় গরু চুরি হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৬০,০০০ হাজার টাকা। গত ১০ সেপ্টেম্বরে রাতে রহিম মন্ডলের তিনটি গরু, ফজুল মন্ডলের ১ টি গরু চুরি হয়। চারটি পরিবারের সাথে কথা বলে জানতে পারি রাত দুইটার দিকে তাদের গোয়াল ঘরের তালা ভেংগে তাদের গরু চুরি করেছে চোরের দল। এ পর্যন্ত এই গ্রাম থেকে মোট ৯টি গরু চুরি হয়েছে।যার মূল্য ৪,০০,০০০ টাকা।

একই ইউনিয়নের উজানগ্রাম দক্ষিণপাড়া লুৎফার সর্দারের ৩টি গরু চুরি হয়। গরুর মালিকগন জানান, সারা দিনের খাটনী তার পর বিছানায় গেলে ঘুমিয়ে যায়। সেই সুযোগে গোয়াল ঘরের তালা ভেঙ্গে গরু গুলি নিয়ে গেছে চোরের দল। কয়েকটি বাড়ীতে চোরের দল অভিনব কায়দায় ঘরে বাড়ীর মালিকদের ঘরের বাইরে তালা মেরে আটকি রেখেও গরু চুরি করেছে। যাতে করে তারা বাড়ির বাইরে এসে হৈ,চৈ বা চেচামেচি করতে না পারে।

গজনবীপুরের রাজ্জাক, তাইজদিইন, সুজন ও হবি প্রতিবেদককে বলেন, খুব কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে আমরা গরু কিনেছিলাম। বছর শেষে বিক্রয় করে পরিবারে সচ্চলতা ফিরে পাবো বলে এ আশায়। সারাদিন খাটা খাটনি করে এসে সন্ধার দিকে গরুর ঘাস দিয়ে ঘুমাইতে যায়। রাত দুইটার দিকে উঠে দেখি আমার গোয়ালে গরু নেই। এর থেকে কষ্ট আর কি হতে পারে।

ভুক্তভুগিদের অভিযোগ পূর্বে এই গ্রাম থেকে যতো গরু ছাগল, ইজিবাইক চুরি হয়েছে। আজ পর্যন্ত একটা চোরও গ্রামের সাধারণ জনগন বা পুলিশ কেউই ধরতে পারে নাই। তবে শুধু গরু চুরি নিয়েই এই এলাকার অপকর্ম শেষ নয়। গরু চুরিকে কেদ্র করেই শুরু হয় গ্রাম্য মারামারি।

তবে গজনবীপুর গ্রামের জনসাধরন বলেন, বর্তমানে গজনবীপূর গ্রামে মাদক খাদকের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় এমন ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই এই এলাকার মাদক সেবন কারিকে ধরে জেল হাজতে দিলেই এই, চুরি, রাহাজানির অবসান ঘটতে পারে।আজকে চারটি পরিবার শেষ সম্বল্টুকু হারিয়ে পথে বসেছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x