শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় চালকল মালিকদের সাথে জেলা প্রশাসকের মতবিনিময়

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শুক্রবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৯২

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় তিনদিনের ব্যবধানে চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ টাকা। ধানের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাতে চালের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে ।

বাজার নিয়ন্ত্রণ রাখতে কুষ্টিয়ার জেলা প্রসাশক আসলাম হোসেন স্থানীয় চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে কুষ্টিয়া ডিসি অফিসের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা ও মতবিনিময় সভা করেছেন।

মতবিনিময় সভায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক এস এম তাহসিনুল হক, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কুষ্টিয়ার সহকারী পরিচালক কাজি রকিবুল হাসান, কুষ্টিয়া চেম্বার অব কমার্সের সহসভাপতি এস এম কাদেরী শাকিল, রশিদ এগ্রো ফুড কোম্পানির চেয়ারম্যান বাংলাদেশ অটো মেজর অ্যান্ড হাসকিন রাইস মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রশিদ, চাল কল মালিক সমিতির কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি দেশ এগ্রো লিমিটেডের আব্দুল খালেক, আব্দুস সামাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী জয়নাল আবেদিন প্রধান, অটো ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুক, সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, জেলা বাজার কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, জেলা দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মোকাররম হোসেন ।

এ আলোচনা ও মতবিনিময় সভার সভাপতি জেলা প্রশাসক বলেন, স্বাভাবিক দামে চাল বিক্রয় করার জন্য মিল মালিকদের ভূমিকা নিতে হবে। কোনভাবেই ধান ও চাল মজুদ করা যাবেনা। তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে কুষ্টিয়ায় ৫০ জন মিলার নিয়ন্ত্রণ করছে চালের ব্যবসা। বেআইনি কোন কাজ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ধান চাল মজুদ এর তথ্য নিয়মিত প্রদান করতে হবে। চালের মূল্য বৃদ্ধি সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। কি কারনে চালের মূল্য বৃদ্ধি হচ্ছেে তা অবহিত করতে হবে। ব্যবসার নামে সরকারকে জিম্মি করে ফেলা যাবে না। তিনি আরো বলেন, কোন অবস্থাতেই সরকারকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলা যাবে না।

চালের বাজারে কুষ্টিয়ার যে সুনাম আছে সুনাম রক্ষা করতে হবে। চাউলের মূল্য বাড়ালেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরো বলেন, আমরা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবেশ চাই না । আমরা এদেশের নাগরিক দেশের কোথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। সব সময় লাভের চিন্তা করা যাবে না। আমরা আপনাদের পূর্ব থেকেই সতর্ক করছি। কেউ ধান চাল মজুদ করতে যাবেন না।এ বিষয়গুলো কেউ যদি না মানে তার জন্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রশাসন সবসময় নজরদারিতে রয়েছে। এছাড়াও জনগণের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে হবে।
ব্যবসায়ী এবং চাল মালিকরা জানান, আমরা চালের দাম বৃদ্ধি করেনি ধানের দাম বেড়েছে তাই চাউলের দাম বেড়েছে। তারা বলেন মিলে চাল উৎপাদনের চেয়ে বাজারে চাহিদা রয়েছে দ্বিগুণ। তারাা জানান, প্রতিকেজি চালের মূল্য কেজিতে এক টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।

এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুষ্টিয়ার খুচরা বাজারে প্রতিকেজিতে ৩ থেকে ৪ টাকা করে বৃদ্ধি করা হয়েছে। মূলত ধানের মূল্য বৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে মিলমালিকরা সিন্ডিকেট করে চাউলের দাম বৃদ্ধি করেছে। বর্তমান বাজারে কাজল লতা চাউল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৫ শত টাকায়। তিন দিন পূর্বে চাউলের দাম ছিল ২৪ শত টাকা। আঠাশ চাউল ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৪ শত টাকায়। তিনদিন আগে দাম ছিল ২৩শত টাকা।মিনিকেট ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২৮ শত টাকায়। পূর্বের দাম ছিল ২৬ শত টাকা। বাসমতি বর্তমান বিক্রি হচ্ছে ৩২ শত ৫০টাকায়। গত তিনদিন পূর্বে বিক্রি হয়েছে ৩১ শত টাকায়। এছাড়াও মোটা স্বর্ণ চাউল বিক্রি হচ্ছে ২২ শত ৫০ শত টাকায়। তিন দিন পূর্বে ৫০ কেজির বস্তা চাল বিক্রি হয়েছে ২১ শত টাকায়।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x