শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:১৭ পূর্বাহ্ন

কুমারখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ৮৯

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান মুসার বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর একাধিক অভিযোগ উঠেছে। এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়,উত্তর মিরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে মুসা বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে বানিজ্য, স্কুল ফান্ডের টাকা আত্মসাৎ, এবং বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মাণ কাজে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগ সাজসে নিম্বমানের কাজ করে সেখান থেকে মোটা অংকের টাকা নিচ্ছেন।

যেখানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী সেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রতিটি বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মানের কাজে ১০০% মানসম্মত প্রস্তুতকৃত কাজের কথা বলছেন সেখানে একটি স্বার্থনেশি মহল মুসার মত মানুষ টাকার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগসাজস করে নিম্বমানের বালি,সিমেন্ট দিয়ে প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে বলেও এলাকাবাসী জানান।যেখানে বিদ্যালয়ের ছাদ ঢালাই দেওয়ার জন্য ১ নাম্বার সিমেন্ট দেওয়ার কথা সেখানে কয়েকশ বস্তা ডেম নষ্ট সিমেন্ট দিয়ে কাজ করলেও তার কোন প্রতিবাদ করেনাই মুসা কারন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সাথে তার রয়েছে মোটা টাকার বিনিময়ে আতাত বলে লোকমুখে শোনা যায়। পরবর্তীতে ডেম সিমেন্ট দিয়ে কাজ করতে এলাকাবাসী বাধাগ্রস্ত করলে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের লোকজন সিমেন্টের বস্তা ফেরত নিয়ে যায় কিন্তু এতে মুসার আতে ঘা লাগায় এলাকার অনেক মানুষের সাথে তার বিভিন্ন রকম কথা কাটাকাটির সৃষ্টিও হয়।

এ ছাড়া বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম গত ৪ বছর যাবত ছুটি নিয়ে আমেরিকায় বসবাস করছেন তবুও নেই ম্যানেজিং কমিটির কোন মাথাব্যাথা। কারন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মুসার সাথে প্রধান শিক্ষকের রয়েছে গভীরভাবে দহরম মহরম। ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি হওয়ার জন্য মুসার সমস্ত টাকা পয়সা আমেরিকা থেকে এসে সবকিছু খরচ করেন প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। গত ৪ বছর আমেরিকাতে বসবাস করাকালীন ২ বছর আগে কমিটির মেয়াদ ফুরিয়ে গেলে পুনরায় দেশে ফিরে এসে আবারও টাকা পয়সা খরচ করে মুসাকে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন করে আবারও আমেরিকায় চলেযান প্রধান শিক্ষক মনিরুল ইসলাম। এ যেনো আমেরিকায় বসেই বাংলাদেশে স্কুল চালানোর এক নতুন কাহিনী রুপে পরিনত হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক আমেরিকা থাকার কারনে বর্তমানে স্কুলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছে সহকারী প্রধান শিক্ষক মহিবুল ইসলাম। আর এই মহিবুল ইসলামের সাথে আতাত করে বেশকিছুদিন আগে ম্যানিজিং কমিটির সভাপতি মুসা ৩ লক্ষ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছে বলেও জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বর্তমানে মুসা ম্যানিজিং কমিটির সভাপতির পদে থাকার কারনে বিদ্যালয়ের নিম্ন পদের কর্মচারীদের সাথে অসদাচরণ ব্যবহার করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি যথাযথ কর্তৃপক্ষ দূর্নিতীবাজ স্কুল কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহন করে উপযুক্ত শাস্তি গ্রহন করবেন।

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে, তিনি সাংবাদিকের কথা শুনে ফোন কেটে বন্ধ করে দেয়।এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সাথে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন,এসব কোন কিছুর বিষয় আমি জানিনা এসব দেখার জন্য ইউএনও অফিস আছে শিক্ষা প্রকৌশলী অফিসের একজন আছে।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা অফিসারের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কথা বললে তিনি বলেন,প্রধান শিক্ষকের ছুটির বিষয়টা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির উপরে নির্ভর করে, আর প্রধান শিক্ষক ৪ বছর যাবত আমেরিকায় বসবাস করলে এটা স্কুলের উপর যদি কোন প্রভাব পরে তাহলে এলাকার লোকজন জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ গ্রহন করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x