শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৪ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়া কুমারখালী সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে সাবিরা খাতুনের ৯ বছর চাকরি

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ১১ অক্টোবর, ২০২০
  • ৮৭

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজে ভুয়া সনদে ৯ বছর চাকরি করছেন ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুন। কলেজটি জাতীয়করন হবার পর যাচাই বাছাইয়ে তার নিবন্ধন সনদ ভুয়া বলে প্রমাণিত হওয়ায় বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) কলেজের অধ্যক্ষকে চিঠি পাঠিয়েছেন। এছাড়া জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ঐ প্রভাষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণেরও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, কুমারখালী বেসরকারি ডিগ্রি কলেজ ২০১৮ সালের ৮ আগস্ট জাতীয়করন হয়। কলেজটি জাতীয়করণ ঘোষণার পর সনদ যাচাই-বাছাইয়ের জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি পাঠানো হয় এনটিআরসিএ তে। তারমধ্যে ২৯ জন শিক্ষকের ফলাফল পাওয়া যায়। এবং সনদ যাচাইয়ে আরবী ও ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত বলে অতি সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত ১৬৯৭ স্মারকে সনদ যাচাই সংক্রান্ত চিঠি গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এছাড়া কলেজের অধ্যক্ষকে ই-মেইল মারফত এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে নির্দেশ দেয়া হয় অধ্যক্ষকে।
এনটিআরসিএর প্রেরিত চিঠিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ মর্মে সাবিরা খাতুনের দাখিলকৃত নিবন্ধন সনদের রোল নম্বর ২১৪১০৭৯৬, রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৮০৫৫৯১১৪ যাচাইকালে সনদটি ভুয়া প্রমাণিত হয়। এছাড়া নিবন্ধন পরীক্ষায় তার প্রাপ্ত নম্বর ছিল ২৭ এবং তিনি ওই নিবন্ধন পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। সম্পূর্ণ জালিয়াতির আশ্রয়ে ভুয়া সনদে সাবিরা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রভাষক পদে কলেজে নিয়োগ লাভ করেন। এরপর ২০১১ সালের ১ মে তিনি এমপিও ভুক্ত হন। এমপিও ভুক্তির পর থেকে দীর্ঘ নয় বছর যাবত অবৈধ পন্থায় সরকারি আর্থিক সুবিধা ভোগ করে আসছেন। তবে এনটিআরসিএর নির্দেশ মোতাবেক কলেজের অধ্যক্ষ অভিযুক্ত প্রভাষকের বিরুদ্ধে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলা কিংবা আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেন নি।
কুমারখালী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ শরিফ হোসেন মুঠোফোনে বলেন, প্রভাষক সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া সংক্রান্ত বিষয়টি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট মারফত জেনেছি। তবে এ সংক্রান্ত কোন চিঠি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায়নি। চিঠি পাওয়ার পর নির্দেশমত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কুমারখালীর থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) মামুনুর রশিদ বলেন, এসংক্রান্ত কোন তথ্য বা নির্দেশনা পাইনি। তবে কলেজ কর্তৃক অভিযোগ দিলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x