শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০২ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় অবৈধ তামাক ফ্যাক্টরি এইচ,আর,এস ইন্ডা. লিঃ বন্ধের নির্দেশ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২০
  • ১১৪

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়া শহরের মিলপড়ায় দীর্ঘ দিন ধরে পরিবেশ গত কোন ছাড়পত্র ছাড়া আবাসিক এলাকাই তামাক প্রক্রিয়া করে আসছিলো এইচ,আর,এস ইন্ড্রা:লি:। গতকাল বৃহস্পতিবার পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ফ্যাক্টরিটি সাময়িক ভাবে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
জানা গেছে, মিলটি ২০০৯ সালে আবাসিক এলাকা মিলপাড়াতে সিগারেট প্যাকেট জাত করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলে, কিন্তু প্যাকেট জাত বাদ রেখে মিল মালিক কাচা তামাক প্রসেসিং করে যা কোন প্রকার অনুমোদন নাই পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে। কাচা তামাক প্রসেসিং এর ফলে এলাকাটি জনবহুল হওয়ায় প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন শ্বাস কষ্ট জনিত রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে, ফ্যাক্টরিটি নিয়ে এর আগেও অনেকবার পত্রিকা ও টেলিভিশনে একাধিকবার খবর প্রকাশ করা হয়, স্থানীয় সচেতন মহল বলেন মিলের ক্ষতিকর কালো ধোঁয়া ও বিকট গন্ধের প্রভাব এতোটাই ভয়াবহ হয় অনেকে অত্র এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। এই পরিদর্শন পরিচালনার সময় স্থানীয় জনতা ফ্যাক্টরির সামনে ফ্যাক্টরি বন্ধের দাবিতে ব্যানার নিয়ে মানব বন্ধন করে।
এই ব্যাপারে স্থানীয়রা কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তর, পৌরসভা সহ বিভিন্ন জায়গাতে স্বারকলিপি জমা দিয়েছিল, এরই ফলশ্র“তিতে কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপে গতমাসে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিশ দেয় এই মর্মে আগামী সাত দিনের মধ্যে দুর্গন্ধ বন্ধ করতে হবে কিন্তু মিল মালিক হাফিজ তার পুরনো অভ্যাস অনুসরণ করে নোটিশ তোয়াক্কা না করে তার মতো চালাতে থাকে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টার দিকে ঢাকা থেকে আসেন পারিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর সাইদ নাজমুল আহসান এর নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার কর্মকর্তারা পরিদর্শনে এসে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে ফ্যাক্টরির পরিবেশ এবং স্থানীয়দের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যেহেতু মিল মালিক হাফিজ কোন সঠিক কাগজ দেখাতে ব্যার্থ হয়েছে, তাই পারিবেশ অধিদপ্তরের ডাইরেক্টর সাইদ নাজমুল আহসান ফ্যাক্টরিটি সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়ে যান। তিনি ফ্যাক্টরির মালিক হাফিজকে বলেন আপনি দুর্গন্ধ বন্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং এই ধরনের ফ্যাক্টরি চালাতে যেই ধরনের কাগজ লাগে সব সঠিক নিয়মে পুরন করার পরে আমরা আমাদের যাচাই বাছাই করে ফাইনাল সিদ্ধান্ত জানাবো।
স্থানীয়রা বলেন, আমরা এই ফ্যাক্টরির জন্য সব সময় ভয়ে থাকি কারন এই ফ্যাক্টরিতে অনেক পুরাতন বয়লার ব্যবহার করা হয়। যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাচির ঘেশা পরিবার গুলো বড় ধরনের ক্ষতির সম্মুখিন হবে। এ ছাড়া ও ফ্যাক্টরির সাথেই ২ টা কিন্ডারগার্টেন স্কুল আছে ১ টা প্রায়মারী স্কুল থাকাই সোনামণিরা প্রতিনিয়ত শ্বাস কষ্ট রোগে জড়িয়ে পরছে। তাই তাদের চাওয়া এতো ঘনবসতিপুর্ন আবাসিক এলাকায় এই ধরনের ক্ষতিকারক ফ্যাক্টরি থাকলে আমাদের অপুরনীয় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে, তাই ফ্যাক্টরি বন্ধ করার জন্য কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x