এ বছরের ডিসেম্বরে মানিকগঞ্জ জেলার মানিকগঞ্জ ও সিংগাইর পৌরসভা নির্বাচন -২০২০ অনুষ্ঠিত হবে। আসন্ন পৌর নির্বাচন উপলক্ষে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশা করে ব্যস্ত সময় পার করছেন দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
সিংগাইর পৌরসভা নির্বাচন -২০২০ এ বিএনপির প্রার্থীর বিপরীতে আওয়ামিলীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থী ৬ জন।
কাগজে – কলমে ৬ প্রার্থী থাকলেও সিংগাইর পৌর আওয়ামীলীগ, পৌর যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ও পৌর এলাকার সাধারণ মানুষ মেয়র হিসাবে উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা, গত নির্বাচনে নৌকার কান্ডারি আবু নাঈম মোঃ শফিউল বাশার কে চায় এবং তার পক্ষে ঐক্যবদ্ধ দেখা গেছে। নির্বাচনী এলাকায় তার পক্ষে ইতিমধ্যে ব্যাপক গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে।
আবু নঈম মোঃ বাশার ক্লিন ইমেজের নেতা হিসাবে পৌর এলাকার গণমানুষের কাছে সমাদৃত। স্বচ্ছ রাজনৈতিক ইমেজের কারনে নির্বাচনের অনেকটা দেরি থাকলেও তরুণ এই নেতাকে নগরপিতা হিসাবে দেখতে উদগ্রীব পৌর এলাকার বয়োজ্যেষ্ঠ থেকে তরুণ সব বয়সের নাগরিকবৃন্দ।
সাবেক এই ছাত্রনেতার পক্ষে এলাকায় ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোড়ন ও গণসমর্থন সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ ও সচেতন মহল সকলের প্রত্যাশা, তিনি নগরপিতা নির্বাচিত হয়ে স্বপ্নের পৌরসভায় বিনির্মাণ করবেন।
আবু নাঈম বাশার, ২০০৩-১২ সাল পর্যন্ত সিংগাইর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এছাড়া তিনি সিংগাইর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের বিপুল ভোটে নির্বাচিত সাবেক এজিএস। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য। তিনি, দেশের খ্যাতিমান বাউলশিল্পী, উপজেলা আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের নেতা, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বাউল সম্রাট আব্দুর রশিদ সরকারের সন্তান।
গত পৌর নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগের টিকেটে নৌকার কান্ডারী ছিলেন। সে নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী মীর মোহাম্মদ শাহাজাহান নির্বাচন করাতে, বিএনপির প্রার্থী খোরশেদ আলম ভূঁইয়া জয়ের কাছে পরাজিত হোন। তবে একবারের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। খোরশেদ আলম ভূইয়া জয় ও মীর শাহাজাহানের জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার বিপরীতে বহুগুণে বেড়েছে সাবেক এই ছাত্রনেতার জনসমর্থন ও জনপ্রিয়তা।
পৌর এলাকারা ৩ নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বয়োজেষ্ঠ্য নাগরিক বলেন, “সুখে দুঃখে আমারা তাকে কাছে পাই। গত নির্বাচনে আমি তাকে ভোট দেয়নি। এবার তাকে ভোট দিবো। শুধু আমি না, আমার মতো অনেকেই তাকে ভোট দিতে মুখিয়ে আছে। আমরা তাকে যোগ্য ও দক্ষ মনে করি। আমি মনে করি, তিনি মেয়র হলে এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় থাকবে এবং অবহেলিত এই পৌরসভার উন্নয়ন হবে।”
পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা রিকশা চালক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ” আমরা রাজনীতি বুঝি না। খেটে খাওয়া মানুষ। শুধু বুঝি বাশার ভাই ভালো লোক। তিনি যেমন সৎ তেমনি মানুষের প্রতি ও তার অনেক মায়া। আমরা তাকেই আমাদের মেয়র হিসাবে দেখতে চাই।
সিংগাইর সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মোল্লা মোহাম্মদ দুলাল বলেন, দুঃসময়ে সিংগাইরে যে কয়টি পরিবার আওয়ামীলীগের রাজনীতি ধরে রেখেছেন আবু নাঈম মোঃ বাশারের পরিবার তাদের একটি। বিএনপি -জামায়েত জোট সরকার ও তত্ববধায়ক সরকারের আমলে জীবনের মায়া ত্যাগ করে তিনি ও তার বাবা নেতাকর্মী সাথে নিয়ে, ঢাকাতে গিয়ে লগি বৈঠার আন্দোলনে অংশ নিয়েছেন। তার পরিবার নির্যাতন কারাভোগ করে ও আওয়ামীলীগের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রেখেছেন। আমি মনেকরি, ছাত্রজীবন থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নিবেদিত প্রাণ সাবেক এই ছাত্রনেতা কে মনোনয়ন দিলেই কেবল সিংগাইর পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা যোগ্য মাঝি পাবে ও জয়লাভ করতে পারবে। আমরা তার সাথে ছিলাম, আছি, থাকবো।
স্বতস্ফূর্তভাবে, পৌর এলাকার নাগরিকদের কাছে, তার শুভেচ্ছা বার্তা ও স্বপ্নের পৌরসভা বিনির্মানের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন পৌর ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামিলীগের নেতাকর্মী সহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা।