মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ন

জাবিতে “বেঙ্গল ডেল্টা হতে গ্রীনহাউস গ্যাস কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ” বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

জাবি প্রতিনিধি
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৭ জুন, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে “অর্গানাইজেশন অফ উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (OWSD) আর্লি ক্যারিয়ার উইমেন সায়েন্টিস্ট ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০১৮” -এর সমাপনী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৭ জুন) সকাল ১০ টায় পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সেমিনার রুমে “বেঙ্গল ডেল্টার প্রধান নদী থেকে গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমন এবং কার্বন পরিবহন” শীর্ষক এ কর্মশালাটি শুরু হয়। কর্মশালার উদ্বোধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর অজিত কুমার মজুমদার।

কর্মশালাটির আয়োজন করেন ল্যাব প্রধান জাবি পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক প্রফেসর ড. শফি মুহাম্মদ তারেক এবং প্রফেসর ড. মাশহুরা শাম্মী। এতে সহযোগী হিসেবে ছিলেন হাইড্রোবায়োজিওকেমিস্ট্রি অ্যান্ড পলিউশন কন্ট্রোল ল্যাবরেটরির প্রাক্তন ও বর্তমান ল্যাব সদস্যরা। অর্গানাইজেশন অফ উইমেন ইন সায়েন্স ফর দ্য ডেভেলপিং ওয়ার্ল্ড (OWSD)-এর অর্থায়নে এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার বলেন, গবেষণায় শিক্ষার্থীদের সম্পৃক্ত করতে এরকম কর্মশালার আয়োজন প্রশংসনীয়। স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর গবেষণা কাজে ছাত্রছাত্রীদের মনোযোগ এবং দীর্ঘ প্রশিক্ষণ জরুরী। এটি তাদের ক্যারিয়ারকে আরো সমৃদ্ধ করবে।

প্রকল্পের প্রধান তদারক পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাশহুরা শাম্মী প্রকল্পের বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেন। এছাড়াও তিনি এই প্রকল্পে বাংলাদেশে হাইড্রোবায়োজিওক্যামিক্যাল গবেষণার জন্য একটি বিশেষায়িত গবেষণাগার গঠনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেন।

অধ্যাপক ড. শফি মুহাম্মদ তারেক তার কি-নোট বক্তব্যে বেঙ্গল ব-দ্বীপের অভ্যন্তরীণ পানি থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের উপর পানি দূষণের প্রভাব সম্পর্কে বলেন। এছাড়াও এই প্রকল্পটি শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যত গবেষক হওয়ার প্রশিক্ষণস্বরূপ এবং আন্তর্জাতিক গবেষণায় কীভাবে সহযোগিতা করতে পারে সে বিষয়ে আলোকপাত করেন।

কর্মশালায় পাঁচজন প্রাক্তন এবং বর্তমান ল্যাব সদস্য পাঁচটি উপস্থাপনার মাধ্যমে প্রকল্পের ফলাফল উপস্থাপন করেন।

তন্মধ্যে প্রকল্পের সদস্য মোঃ মোরশেদুল হক গঙ্গা নদী থেকে কার্বন নির্গমনের ঋতু ও দৈনিক পরিবর্তন ব্যাখ্যা করেন। প্রকল্পের আরেক সদস্য মোঃ নাহিন মোস্তফা নিলয় গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্র নদীতে বিভিন্ন দ্রবীভূত জৈব পদার্থের অবক্ষয় সম্ভাবনা এবং তাদের গতিশীলতা ব্যাখ্যা করেন। মোঃ আবিদ আজাদ সাকিব কীভাবে দ্রবীভূত জৈব পদার্থ শহুরে শিল্পঅঞ্চল থেকে নদী এবং সামুদ্রিক অঞ্চলে জলের গুণমান অনুসারে পরিবর্তিত হয় সে বিষয়ে আলোচনা করেন।

এছাড়াও দুই বর্তমান ল্যাব সদস্য মোঃ উসমান মিয়া এবং অভিক রয় দ্রবীভূত জৈব পদার্থের সাথে লেক বা হ্রদ থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনের দৈনিক এবং ঋতুগত তারতম্যের উপর একটি বক্তৃতা দেন।

সমাপনী বক্তব্যে পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ. এইচ. এম. সা’দৎ হাইড্রোবায়োজিওক্যামিস্ট্রি ল্যাবরেটরি টিমের করা এই প্রকল্পের কাজের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ প্রকল্পের ফলাফল নীতিনির্ধারকদের কাছে পৌছানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x