শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৬:৫৯ পূর্বাহ্ন

কুষ্টিয়ায় এনআইডি কার্ড জালিয়াতি মূল হোতা পাটিকাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : বৃহস্পতিবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২০
  • ২১১

নিউজটি শেয়ার করুন

কুষ্টিয়ায় জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার জমি দখলের ঘটনায় তোলপাড় সারাদেশ। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতিতে প্রতারক চক্রটি ব্যবহার করেছে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সনদ। যে সনদে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনের স্বাক্ষর। পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনের স্বাক্ষরকৃত সনদ প্রতারকরা কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে জমা দিয়েই জালিয়াতি করে তৈরী করে জাতীয় পরিচয় পত্র। ঘটেছে দ্বিতীয়বার ভোটার হওয়ার মতো ঘটনা। ভোটার ফর্মে ও রয়েছে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর।

তাই অনেকেই বলছে, জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্র ও দ্বিতীয়বারের মতো ভোটার হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে থাকতে পারে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন হাত।

তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপার বাসিন্দা আবুল কালাম আজাদ দীর্ঘদিন যাবত ভারতে বসবাস করতেন। ভারতের বর্ধমানের মৃত রেজিষ্ট্রেশনের তালিকা অনুসারে ২০১৫ সালে তিনি মৃত্যুবরন করেন। কিন্তু ২০১৮ সালে নাম পরিচয় গোপন করে ঝিনাইদহের শৈলকূপার আবুল কালাম কুষ্টিয়া সদরের ভোটার হোন। এখানে আবুল কালাম আজাদ আসল নাম গোপন করে মোল্লা আব্দুল মঈদ নামে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের সনদ জমা দেওয়ার মাধ্যমে ভোটার হন। যেখানে ভোটার ফরমে চেয়ারম্যান সফর উদ্দিনের স্বাক্ষর রয়েছে।
শুধু আবুল কালাম আজাদ’ই নয় কুষ্টিয়ায় ছয় জনের জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতি করে শতকোটি টাকার জমি দখলেরও ঘটনা ঘটেছে। যার প্রতিটিতেই ব্যবহৃত হয়েছে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের সনদ।

অনেকেই আবার বলছে, নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা ছাড়া পরিচয় গোপন করে দ্বিতীয় বার ভোটার হওয়ার কোন সুযোগ নেই। যদিও কুষ্টিয়ায় একাধিক জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এ ধরনের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকা আইন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জেল জরিমানার বিধান থাকলেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে অপরাধীরা। আর এইসব জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির মূলকেন্দ্র হিসেবে প্রতিবারই ব্যবহৃত হয়েছে পাটিকাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরিত সনদ।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ছামিউল আলম জানায়, চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের প্রদত্ত যে সকল কাগজপত্র আমাদের কাছে দেওয়া হয়েছে, তা সঠিক মনে হয়েছে। তার জন্য এর বৈধতা দিয়েছি আমরা।

পাটিকাবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সফর উদ্দিন জানায়, আমার ইউনিয়ন পরিষদের সনদ নকল করা হয়েছে। এ ধরনের ঘটনার আমি কোনভাবেই জড়িত নই। যদিও ভোটার ফরমে স্বাক্ষরের বিষয়টিতে তিনি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেছেন।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x