মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন

পুঁজিবাজারে যোগ হলো নতুন স্বপ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

পুঁজিবাজারের ইতিহাসে নতুন দিগন্তের সূচনা করল দেশের শীর্ষ শিল্পোদ্যোক্তা পরিবার বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি লিমিটেড। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। এ চুক্তির মধ্য দিয়ে কৌশলগত বিনিয়োগকারী (স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার) হিসেবে সিএসইতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে এবিজি লিমিটেড। গতকাল রাতে চট্টগ্রামের রেডিসন ব্লু-বে ভিউতে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঐতিহাসিক এ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বসুন্ধরা গ্রুপ এবং এবিজি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীর এবং সিএসইর পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. গোলাম ফারুক।

চুক্তির সময় উপস্থিত ছিলেন ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান, বসুন্ধরা গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান সাদাত সোবহান তানভীর, ভাইস চেয়ারম্যান সাফওয়ান সোবহান তাসভীর, বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আহমেদ ওয়ালিদ সোবহান।

সিএসইর স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হওয়া এবিজি লিমিটেড দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান। সিএসইর ২৫ শতাংশ শেয়ার কেনার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পুঁজিবাজারের মালিকানায় কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হলো। এখন থেকে স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার হিসেবে এবিজি লিমিটেড কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এ চুক্তিকে ঐতিহাসিক হিসেবে মনে করছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাদের মতে, দেশের পুঁজিবাজারে যোগ হলো নতুন এক স্বপ্নের। সার্বিক উন্নয়ন ও কার্যকরী সমৃদ্ধি আনয়নের লক্ষ্যে এবিজি লিমিটেড বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করেছে। যা পুঁজিবাজারকে আরও সমৃদ্ধ ও শক্তিশালী করতে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। পুঁজিবাজারে আস্থা এবং গৌরব ফেরাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবিজি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সিএসইর সঙ্গে বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবিজি গ্রুপ যুক্ত হওয়ায় বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বাংলাদেশের অর্থনীতির একজন লিজেন্ডারি উদ্যোক্তা। তিনি যে জায়গায় হাত দিয়েছেন, সেখানে নতুন নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হয়েছে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান বলেন, ‘বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় সাহসী উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারা যে উদ্যোগ গ্রহণ করে পরবর্তীতে তা অন্যরা অনুসরণ করে। সিএসইর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিষয়টিও তারা চিন্তাভাবনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এক্ষেত্রেও বসুন্ধরা সফল হয়ে প্রমাণ করবে তাদের সিদ্ধান্ত সঠিক।’ তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে আমি চিন্তা করিনি দেশ এ জায়গায় এসে পৌঁছাবে। আজকের এ অবস্থার কথা তখন কেউ আমাকে বললেও বিশ্বাস করতাম না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী চিন্তা ও পরিকল্পনার কারণে দেশ আজ এ জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে।’

বসুন্ধরা গ্রুপকে দেশপ্রেমী ব্যবসায়ী উল্লেখ করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে বসুন্ধরা গ্রুপ একের পর এক শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করছে। তারা সিএসইর সঙ্গে যুক্ত হওয়ায় পুঁজিবাজারকে সমৃদ্ধ করবে। একটি দেশপ্রেমী গ্রুপের পক্ষেই সম্ভব এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, খাতুনগঞ্জ এবং চট্টগ্রাম বন্দরকেন্দ্রিক দীর্ঘদিনের ঐতিহ্যবাহী ট্রেডিং ব্যবসা চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠার অনেক আগে থেকে হয়ে আসছে। কিন্তু তা ছিল অনানুষ্ঠানিক। তবে দীর্ঘদিন পরে কমোডিটি এক্সচেঞ্জ চালুর মধ্য দিয়ে সেটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ পেতে যাচ্ছে।

দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান বলেছেন, দেশের উন্নয়নে বসুন্ধরা গ্রুপ সবসময় দুঃসাহসিক পদক্ষেপ নেয়। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সঙ্গে যুক্ত হওয়া তেমনই এক দুঃসাহসিক পদক্ষেপ। এর মধ্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে। সময়ের আগে হোক বা পরে, আমাদের দুঃসাহসিক অভিযান সবসময় চলছে। এ দেশের উন্নয়নে আমরা সবসময় সজাগ থাকব। স্বাধীনতার ৫০ বছরেও কেউ এ ধরনের দুঃসাহস দেখাতে পারেনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রী সবসময় গোল্ড রিফাইনারির কথা বললেও কেউ সাহস করেনি। বসুন্ধরা গ্রুপ তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। আশা করা হচ্ছে, এটি পোশাক শিল্পকেও ছাড়িয়ে যাবে। বিদেশে অনেক বেশি রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করে বসুন্ধরা চেয়ারম্যান বলেন, পঁচাত্তরের কালরাতে ঘাতকের বুলেটে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নৃশংসভাবে খুন হলে বাঙালি জাতি দিশা হারিয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এক এক করে পূরণ করে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, নতুন এ উদ্যোগ নিয়ে এবিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরের সঙ্গে আলাপ করেছি যে, তোমার পরিকল্পনা কী। তাঁর উত্তর, আমরা কাঁচামাল সবকিছু ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আনব। এটি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।

পর্যটন খাতের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এ খাতে আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এসব জায়গায় আমাদের বিনিয়োগ করা উচিত। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। ডলার নিয়ে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখনো ব্যাংকে পর্যাপ্ত সঞ্চয় রয়েছে। আমাদের অর্থনীতি এখন অনেক শক্তিশালী। ১৪ বছরে আমাদের ডলারের মূল্য বেড়েছে মাত্র ১০ টাকা। বর্তমানে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক সংকটের কারণে ডলার নিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়েছে। তবু আমি বলব, আজকের এ পরিস্থিতিতেও সঠিক নেতৃত্বের কারণে আমরা পথ হারাইনি। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশের চেহারাই বদলে গেছে।

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, বর্তমান অর্থনীতিকে মানি মার্কেট ও ক্যাপিটাল মার্কেট এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে অর্থনীতিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। করোনা এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের মধ্যেও বিভিন্ন সময় দেশের অর্থনীতিকে নতুন নতুন প্রোডাক্ট ও স্টাডিজি দিয়ে প্রবৃদ্ধি ঠিকই ধরে রেখেছেন। আমরা ৮-১০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাইনি। কিন্তু ৫-৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি এ সময়েও দিয়েছেন। তাঁর বুদ্ধি বিবেচনা, নেতৃত্বগুণ আমাদের সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি খুবই ভালো করছে। অর্থনীতিতে পণ্যটি যদি ঠিকমতো ম্যানেজ না হয়, স্টাডিজিকাল ওয়েতে যদি হ্যান্ডেল না করা হয়- যদি সেই পণ্যটি আমাদের অর্থনীতিতে মানি-ক্যাপিটাল মার্কেটের সঙ্গে একলাইনে এগোতে না পারে তখনই সেখানে একটা মিসিং লিংক তৈরি হয়। আমাদের কমোডিটি মার্কেটে এ অভাবটা রয়েছে। একদিকে এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট হোলসেল বিজনেস, অন্যদিকে মানি মার্কেট-ক্যাপিটাল মার্কেট এ দুটি জায়গা দেশের অর্থনীতিকে চালায়। কিন্তু এই খাতুনগঞ্জে যে একটি সিস্টেমেটিক ওয়েতে কমোডিটি নিয়ে একটি মার্কেট হবে এই মিসিং লিংকটা আমরা ফিল করছিলাম। তারই ফলশ্রুতিতে আমরা মনে করেছি, সিএসই হওয়া উচিত এমন একটা জায়গায় যেই সিএসই স্টাডিজিক ওয়েতে একজন শক্তিশালী পার্টনার নিয়ে দেশে একটি কমোডিটি মার্কেট চালু করবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশে যারা ২০, ৫০ ও ৭০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান করেছে- এ ব্যক্তিরা তাঁদের বুদ্ধিমত্তা দিয়ে হাজার হাজার লোকের সংসার চালাচ্ছে। আমরা এমন প্রতিষ্ঠানকে খুঁজছিলাম। আমরা মানুষকে শুধু অসম্মান করতে জানি, সম্মান করতে জানি না। তাঁরা (বসুন্ধরা গ্রুপ) এতগুলো পরিবারকে চালাচ্ছেন, এটা কি সোজা কথা? আমরা একটা স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার দিয়ে সিএসইকে শক্তিশালী করব। আজকের দিনটি আমাদের কাছে ঐতিহাসিক। আজকের দিনের মাধ্যমে নতুন এলাকাতে যাচ্ছি, নতুন স্টেপে যাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী এটি খুবই চাচ্ছিলেন, এই জিনিসটা হওয়ার মাধ্যমে একটা নতুন মৌসুম তৈরি হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিএসইর চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম। সায়েম সোবহান আনভীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এ দিনটি অত্যন্ত গৌরবের। ১৯৯৫ সালে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে সিএসই তার সক্ষমতার প্রমাণ দিচ্ছে। ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর সিএসই ডিমিউচুয়ালাইড এক্সচেঞ্জে আত্মপ্রকাশ করে। মূলত এরপর থেকেই স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার খুঁজছে সিএসই। কিন্তু করোনা মহামারি পরবর্তী সময়ে বিদেশি স্ট্র্যাটেজিক পার্টনার পাওয়া যাচ্ছিল না। ওই সময় এবিজি লিমিটেড এগিয়ে আসে। পরবর্তীতে বিএসইসির অনুমোদনক্রমে আজকের এই গ্র্যান্ড সাইনিং সেরেমনি।

সিএসই ও এবিজি পুঁজিবাজারের ইতিহাসে নতুন অধ্যায় শুরু করল জানিয়ে তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপ। তাঁরা যেখানেই যুক্ত হয়েছে, সেই খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। এবিজি লিমিটেডকে সঙ্গে নিয়ে পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করবে সিইসি।

ইস্ট-ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, আমরা এখন চারদিকে উন্নয়নের বন্যা দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু এই সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং তাঁর কন্যা সেই সোনার বাংলাটি গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন নিজের যাবতীয় মেধা দিয়ে, পরিশ্রম দিয়ে। বসুন্ধরা গ্রুপও দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করে। যাত্রা শুরুর পর মাত্র ৩৫ বছরে বসুন্ধরা গ্রুপ বাংলাদেশকে অনেক মজবুত করে তুলেছে অর্থনৈতিকভাবে।

স্বাগত বক্তব্যে সিএসইর কৌশলগত বিনিয়োগকারী হিসেবে এবিজি লিমিটেডের যাত্রা শুরুর মাহেন্দ্রক্ষণটিকে বিশেষ পদক্ষেপ বলে মন্তব্য করেছেন সিএসইর পরিচালক মেজর (অব.) মো. এমদাদুল ইসলাম। তিনি বলেন, আজকে ইতিহাসের এক মাহেন্দ্রক্ষণে আমি আপনাদের সামনে একজন গৌরবান্বিত চট্টগ্রামের সন্তান হিসেবে দাঁড়িয়ে আছি। এ আয়োজনটি আমাদের জাতির জন্য, আমাদের অর্থনীতির জন্য, আমাদের সামগ্রিক উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ পদক্ষেপ। বসুন্ধরা গ্রুপ ও এবিজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সায়েম সোবহান আনভীরকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, একজন মানুষ আজ দুরন্ত সাহস নিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমি তাঁকে বলেছি, হিমালয়ে চড়ার জন্য অর্থনীতির এক শেরপা তিনি। তাঁর নাম সায়েম সোবহান আনভীর।

অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগে রেডিসন ব্লু-বে ভিউতে হাজির হতে থাকেন মন্ত্রী, মেয়র, এমপি, শিল্পপতি, কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, সরকারি শীর্ষ কর্মকর্তাসহ ঢাকা ও চট্টগ্রামের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই হলরুম কানায় কানায় ভরে ওঠে। এতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা, উপমন্ত্রী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী উপস্থিত ছিলেন। পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। এরপর জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। চুক্তি স্বাক্ষরের বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিজি গ্রুপের চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, ডেইলি সান সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, কালের কণ্ঠ সম্পাদক শাহেদ মুহাম্মদ আলী, বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম সম্পাদক জুয়েল মাজহার, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, রূপায়ণ গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খান মুকুল, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনূস প্রমুখ।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x