শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০১:২১ পূর্বাহ্ন

ডমিঙ্গোর সঙ্গে নতুন চুক্তি যেনো গলার কাঁটা!

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২১

নিউজটি শেয়ার করুন

ডমিঙ্গোর সঙ্গে নতুন চুক্তি যেনো গলার কাঁটার মতো অবস্থায় পড়েছে বোর্ড। তবে ক্রিকেট পাগল বাঙালি বলছে, এই পরিস্থিতি নিজেরাই তৈরি করেছেন টাইগার কর্তারা। প্রায় বছর খানেক ধরেই যখন প্রধান কোচ এবং স্টাফদের নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। একের পর এক সিনিয়র খেলোয়াড়রা যখন রাগে অভিমানে নিজেদের সরিয়ে নিচ্ছে। রানের বাইরে থেকেও যখন নিয়মিত দলে সুযোগ পাচ্ছে কেউ কেউ। তখন কোচ এবং বোর্ডকেই দুষছেন সবাই।

কিন্তু এর মধ্যেও কি করে নতুন চুক্তির পয়গাম প্রস্তুত করে বিশ্বকাপ যাত্রা করলো ডমিঙ্গো সেটিই এখন কৌতহলের বিষয়।যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ভরাডুবির পর অস্থিরতা চলছে বিসিবিতে। সঙ্কট এত রকমের যে, বোর্ড কর্তারা বুঝে উঠতে পারছেন না কোন দিক তারা কীভাবে সামলাবেন। বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান গত কয়েক দিনে দফায় দফায় সভা করেন বোর্ড পরিচালক ও নির্বাচকদের সঙ্গে। সম্ভাব্য করণীয় নিয়ে নিজ বাসায় শুক্রবার বিকেলে বোর্ড প্রধান কথা বলেন মাশরাফি বিন মুর্তজা ও তামিম ইকবালের সঙ্গেও।

যত সমস্যা কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতায় জাতীয় দলের কোচকে রাখার খুব ইচ্ছে বিসিবির নেই, কিন্তু এই মুহূর্তে ছেড়ে দেওয়ার উপায়ও নেই! বিশ্বকাপ ফাইনালের পরদিনই বাংলাদেশে আসছে পাকিস্তান। তাই লেজেগোবরে অবস্থা বিসিবির।

নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ডমিঙ্গোর মাসিক বেতন হবে প্রায় ১৭ হাজার ডলার (আয়করসহ প্রায় ২২ হাজার ডলার)। এখন বিসিবি যদি ডমিঙ্গোকে বাদ দেয়, আগামী এক বছরের বেতন তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে। ডমিঙ্গো নিজে থেকে ছাড়তে চাইলেও একই অঙ্ক দিতে হবে।

ডমিঙ্গোর চাকরি ছাড়তে চাওয়ার কোনো কারণ নেই। বিসিবি এখন তাকে রাখতে না চাইলেও উপায় নেই, এখন বরখাস্ত করলে ডমিঙ্গোকে বুঝিয়ে দিতে হবে ২ লাখ ডলারের বেশি!

ডমিঙ্গোর সঙ্গে চুক্তির এই বাস্তবতার কারণে অবশ্য বোর্ড পরিচালকদের মধ্যেও অস্বস্তি আছে অনেকের। এটি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলতে রাজি নন কেউই। তবে আড়ালে ক্ষোভ ঝাড়ছেন এক পক্ষ। তাদের দাবি, বোর্ডকে অনেকটা ‘ব্ল্যাকমেইল’ করেছেন ডমিঙ্গো এবং বোর্ডও সেই ফাঁদে পা দিয়েছে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x