শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১২:২৯ অপরাহ্ন

অনুমোদনবিহীন ক্যাবল টিভি সার্ভিস প্রদানের দায়ে কুষ্টিয়া অভিযান, ২’জনের বিরুদ্ধে মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

নিউজটি শেয়ার করুন

অবৈধ সেট টপ বক্স এবং অনুমোদনবিহীন ক্যাবল টিভি সার্ভিস প্রদানের দায়ে কুষ্টিয়া অভিযান পরিচালনা করল র‌্যাব ও বিটিআরসি। রবিবার (২৬ জানুয়ারি, ২০২৩) কুষ্টিয়া জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে আটক এবং ৫টি প্রতিষ্ঠানের সকল অননুমোদিত বেতার যন্ত্র জব্ধ করা হয়।

র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প ও বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) যৌথভাবে এই অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন র‌্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মোহাম্মদ ইলিয়াস খান এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসেন ।

অভিযান পরিচালনা শেষে জানানো হয়, অবৈধ সেট টপ বক্স এবং ক্যাবল কানেকশন ব্যবসা এবং অননুমোদিত চ্যানেলে ও পাইরেটেড কনটেন্ট প্রদর্শন করার কারণে কুষ্টিয়া জেলার বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের অভিযান পরিচালনায় বিভিন্ন অননুমোদিত বেতার যন্ত্র জব্দ করা হয়। একইসঙ্গে তাদেরকে  ভবিষ্যতে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা না করতে সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযানের সূত্রে থেকে জানা যায়, দেশে অবৈধ সেট টপ বক্স ও অনুমোদনবিহীন ক্যাবেল কানেকশন এবং পাইরেটেড কনটেন্ট প্রদর্শন নিষিদ্ধ।  একইসঙ্গে সরকারের অনুমোদিত চ্যানেলের বাইরে অন্য চ্যানেল প্রদর্শনও অবৈধ।  কিন্তু দেশের বিভিন্ন জেলায় অবৈধ সেট টপ বক্স বিক্রি এবং অননুমোদিত চ্যানেল প্রদর্শন করছে কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী।  এগুলো বন্ধ করার উদ্দ্যেশে সারাদেশে অভিযান পরিচালনা করা হবে । এরই অংশ হিসেবে আজ কুষ্টিয়ায় অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান শেষে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) সিনিয়র সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহমুদুল হোসেন বলেন,” সেট টপ বক্সের মত সরঞ্জাম ব্যাবহার এবং বিক্রি করতে ব্যবসায়ীদের তথ্য মন্ত্রনালয় এবং বিটিআরসি থেকে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স নিতে হয়। কিন্তু আমরা জানতে পারি যে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন স্থানে অবৈধ ভাবে বিদেশী সেট টপ বক্স আমদানি করে গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করেছে। একই সাথে তারা সরকারের অনুমোদিত চ্যানেলের বাইরে অন্য চ্যানেল প্রদর্শন করছে, যার ফলে সরকার এই খাত থেকে বিপুল হারে রাজস্ব হারাচ্ছে।“

তিনি আরও জানান, বিটিআরসির নিয়মিত কার্যক্রম হিসেবে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আটককৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন ২০০১ অনুসারে ৩৫(২), ৫৫(৭) এবং ৫৭(৩) ধারায়  মামলা করা হয়েছে। ”

অবৈধ কেবল টিভি সার্ভিসে ‘ক্লিন ফিড’ না থাকায় দর্শকদের না চাইলেও অপ্রয়োজনীয় ও অনাকাঙ্খিত বিদেশী বিজ্ঞাপন দেখতে বাধ্য হচ্ছেন। পাইরেটেড কনটেন্টের অবাধ ব্যবহারের কারণে দেশি নির্মাতা এবং প্রযোজকরা মানসম্পন্ন অনুষ্ঠান তৈরিতে অনীহা প্রকাশ করছেন। এমনকি অনেক বিদেশি চ্যানেলও দেশে বৈধপথে তাদের সেবা নিয়ে আসতে পারছে না এই পাইরেসির কারণে। শুধু অনুমোদনহীন নয়, নিষিদ্ধ চ্যানেলও প্রদর্শন করছে অনেক ক্যাবল অপারেটর। এমন নিষিদ্ধ চ্যানেলগুলোর মধ্যে পিস টিভি ও ফ্যাশন টিভিও রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিভি কনটেন্ট পাইরেসি বন্ধ হলে দেশীয় টেলিভিশনগুলোও সুস্থ প্রতিযোগিতার পাশাপাশি সম্প্রচার মান উন্নত করার সুযোগ পাবে।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x