সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ১১:৪২ অপরাহ্ন

মহারাষ্ট্রে ডেটা অবকাঠামো স্থাপনে ৬৬ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে আদানি গ্রুপ

অর্থনীতি ডেস্ক
  • আপডেট টাইম : রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের মহারাষ্ট্রে ১ গিগাওয়াট হাইপারস্কেল ডেটা অবকাঠামো স্থাপন করতে যাচ্ছে ভারতের আদানি গ্রুপের ফ্ল্যাগশিপ কোম্পানি ও বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম অবকাঠামোগত প্রতিষ্ঠান আদানি এন্টারপ্রাইজেস লিমিটেড। এ লক্ষ্যে সঙ্গে মহারাষ্ট্র সরকার একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।

এ চুক্তির আওতায় ৫০ হাজার কোটি রুপি (প্রায় ৬৬ হাজার কোটি টাকা, ১ রুপি প্রায় ১.৩২ টাকা ধরে)) বিনিয়োগের মাধ্যমে আগামী ১০ বছরে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে এবং আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানির উপস্থিতিতে এই এমওইউ স্বাক্ষরিত হয়।

মুম্বাই বা নাভি মুম্বাই ও পুনের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় এ ডেটা সেন্টার অবকাঠামোটি স্থাপন করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির সাহায্যে এটি পরিচালনা করা হবে। ফলে এটি মহারাষ্ট্রের সবুজ জ্বালানির অবকাঠামোকে উন্নত করবে এবং প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ২০ হাজার ব্যক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। প্রস্তাবিত ১ গিগাওয়াট হাইপারস্কেল ডেটা সেন্টার অবকাঠামোকে শক্তিশালী করতে এতে আদানি গ্রুপেরও বিনিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে। মহারাষ্ট্র সরকার তথ্য প্রযুক্তি সম্পর্কিত অবকাঠামো ও সেবার প্রচারে আগ্রহী। সরকারের ধারণা, প্রস্তাবিত হাইপারস্কেল প্রকল্পটি রাজ্যের জন্য অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে লাভজনক হবে।

নবায়নযোগ্য জ্বালানির ক্ষেত্রে এক সময় মুম্বাইয়ের অবস্থান বেশ নাজুক ছিল। তবে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে দ্রুতই শহরটি পরিচ্ছন্ন জ্বালানি গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। মুম্বাইয়ের নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ এখন বিশ্বের বড় বড় শহরগুলোর চাইতেও বেশি। এ ধরনের মেগা প্রকল্প শহরটির নবায়নযোগ্য জ্বালানির যাত্রাকে আরও সহজ করেছে। এছাড়া, ভারতের বৃহত্তম নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য পূরণে অবদান রেখে বৃহৎ পরিসরে দেশের টেকসই লক্ষ্য অর্জনে এ প্রকল্পগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করছে।

২০২৩ সালে, আদানি ইলেক্ট্রিসিটি মুম্বাই লিমিটেড (এইএমএল) নবায়নযোগ্য উৎস থেকে শহরটিতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে। এর মাধ্যমে সফলভাবে ৩৮ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা হয় এবং এতে গ্রাহকরা পুরোপুরি সন্তুষ্ট ছিলেন। শুধু তাই নয়, ২০২৭ সালের মধ্যে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ চাহিদার এ হার ৬০ শতাংশে উন্নীত করার লক্ষ্য পূরণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এইএমএল।

এ জাতীয় আরো খবর..

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত আজকের অর্থনীতি ২০১৯।

কারিগরি সহযোগিতায়:
x