ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের পরিপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনের সিদ্ধান্তে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ সিদ্ধান্ত মুসলিম বিশ্বকে হতবাক করেছে। প্রকারান্তরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এই সিদ্ধান্ত মুসলিম উম্মাহ বিশেষ করে ফিলিস্তিনের মুসলমানদের বুকে ছুরিকাঘাতের শামিল।
তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এ চুক্তি ইসরাইলের আগুনেই তেল ঢালবে। ইসরাইল-আমিরাত চুক্তির ফলে প্রতিদ্ব›দ্বী দলগুলো একে অপরের সঙ্গে লড়াই করার জন্য ক্ষমতা বাড়াবে। মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক নষ্ট হবে। এ চুক্তি ইসরাইলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করবে এবং ফিলিস্তিন তাদের অধীন হবে। তখন ফিলিস্তিনি এবং যারা তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল তারা অবশ্যই প্রতিক্রিয় দেখাবে। এর অর্থ হলো, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ আরো দীর্ঘায়িত হবে।
মহাসচিব ইউনুছ আহমাদ বলেন, এই সিদ্ধান্ত মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম বিশ্বে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে। ফিলিস্তিনের অধিকার, আদর্শ, লক্ষ্য, আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে মুসলিম বিশ্বের যখন সোচ্চার হওয়া সময়ের দাবি, তখন সংযুক্ত আরব আমিরাতের এ সিদ্ধান্ত মুসলিম উম্মাহর প্রতি এক নির্মম উপহাস ছাড়া আর কিছু নয়।
ইসরাইলের হঠকারিতার কারণে ফিলিস্তিনে দীর্ঘদিন যাবত অশান্তির দাবানল জ্বলছে। আমরা মুসলিম বিশ্বকে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার ও তাদের আগ্রাসী নীতির প্রতিবাদে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থগিতের আহ্বান জানাচ্ছি।