কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ভবন নির্মাণ এবং ওয়াশব্লক এক্সটেনশন কাজে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। এতে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আফসার ট্রেড কর্পোরেশনের মজনুর রহমান বলেছেন, নির্মাণ কাজে কোনো অনিয়ম হয়নি।
নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুজরুক বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ১ কোটি ১৮ লাখ টাকা ব্যয়ে তিন তলা ভবনের ছাদ ঢালাইয়ের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। কিন্তু এলাকাবাসীর অভিযোগ ছাদ ঢালাইয়ে নিম্নমানের বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ঠিকাদারের ম্যানেজারকে বেশ কয়েকবার মৌখিকভাবে জানানো হলেও তিনি তা শোনেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা রাজা বলেন, যারা নির্মাণ কাজ করেন এবং বোঝেন তারা জানিয়েছেন ছাদ ঢালাই কাজে যে বালি ও খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে তার মান ঠিক নেই। তিনি বলেন, আমরা চাই কাজটি সঠিকভাবে করা হোক। সংশ্লিষ্টরা গুরুত্ব দিয়ে যেন বিষয়টি দেখেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোনায়েম খান বলেন, নির্মাণ কাজ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তদারকি কমিটি করে দেয়া হয়েছে তারা বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন। তবে তার জানামতে কাজ ভালো হচ্ছে।
স্কুল সভাপতি অনিরুদ্দিন বলেন, কাজের মান নিম্নমানের বালি ও খোয়ার মান খুবই খারাপ কিছু বলতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে ঠিকাদারের লোক ও সহকারী প্রকৌশলী যেকারণে আর কাজের কাছে যাননা।
শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী সাহেব আলী বলেন, খোয়ার মধ্যে কিছুটা ডাষ্ট থাকেই এটা কোন সমস্যা না আর বালি ল্যাব টেস্ট করিয়ে ব্যবহার করা হচ্ছে। ছাদ ঢালাইয়ের আগেরদিন বালি এনে ল্যাব টেস্ট কখন করানো হলো এমন প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দেননি। তবে শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদফতরের কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল করিম বলেন, আমি সরেজমিন বেশ কয়েকবার কাজ পরিদর্শন করেছি কোন অনিয়ম আমার নজরে পড়েনি।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আফসার ট্রেড কর্পোরেশনের স্বত্বাধিকারী ওহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে কোনভাবেই সম্ভব হয়নি।